X
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
১৯ বৈশাখ ১৪৩২

আরও ফিলিস্তিনি শরণার্থী গ্রহণে আগ্রহী নয় জর্ডান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৩আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৩

জর্ডানে নতুন করে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জায়গা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি। জার্মানিতে আয়োজিত মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তিনি এ কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সাফাদি বলেছেন, আপনাদের মনে জমে থাকা প্রশ্নের উত্তরে আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, জর্ডানের জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশই শরণার্থী। আমাদের পক্ষে নতুন শরণার্থীর চাপ সামলানো যেমন অসম্ভব, আমরা আরও শরণার্থী চাইও না। এমনকি ফিলিস্তিনিরাও এখানে আসতে চাইছেন না।

চলতি মাসের শুরুর দিকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে গাজার দখল নেওয়ার পরিকল্পনা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উৎখাত হওয়া ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের জন্য তিনি মিসর ও জর্ডানকে দায়িত্ব নিতে বলেন। এই প্রস্তাব তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখান করে কায়রো ও আম্মানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ট্রাম্পের পরিকল্পনায় পুরো মধ্যপ্রাচ্য অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জর্ডানের রাজা। বৈঠকে মার্কিন প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তার দেশের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।

গাজা পুনর্গঠনে বিকল্প একটি পরিকল্পনা তৈরি করছে আরব দেশগুলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১০ জনের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে গাজাকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা বানানোর মার্কিন পরিকল্পনার বিপরীতে সৌদি আরবের নেতৃত্বে জরুরি ভিত্তিতে নতুন প্রস্তাব তৈরির কাজ চলছে।

এই বিষয়ের উল্লেখ করে সাফাদি বলেছেন, গাজা পুনর্গঠনের জন্য আমরা একটি বিকল্প পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। আমরা দেখাতে চাই, নিরাপত্তা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ না করেই গাজা পুনর্গঠন সম্ভব।

আঞ্চলিক পরিস্থিতি আগামী এক থেকে দুই দশকে কেমন অবস্থায় থাকবে, সে বিষয়ে ইসরায়েলকেও ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করে সাফাদি বলেছেন, ইসরায়েলকেও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হবে। তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। নিজেদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা চাইলে প্রতিবেশীর জন্যও তা নিশ্চিত করতে হবে।   

/এসকে/
সম্পর্কিত
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের কোনও ইঙ্গিত নেই: যুক্তরাষ্ট্র
চিলির উপকূলে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা
বাংলাদেশ সব বকেয়া পরিশোধ করবে, আশাবাদী আদানি পাওয়ার
সর্বশেষ খবর
খিলগাঁওয়ে পৃথক ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু
খিলগাঁওয়ে পৃথক ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু
রাজধানীতে মোটরসাইকেল ধাক্কায় পথচারী নিহত, আহত স্বামী-স্ত্রী
রাজধানীতে মোটরসাইকেল ধাক্কায় পথচারী নিহত, আহত স্বামী-স্ত্রী
পুকুরে গোসল করাকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২০
পুকুরে গোসল করাকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২০
১৪ বছর পর নিয়াজ-ফাহাদদের নিয়ে তিতাস চ্যাম্পিয়ন
১৪ বছর পর নিয়াজ-ফাহাদদের নিয়ে তিতাস চ্যাম্পিয়ন
সর্বাধিক পঠিত
সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতার ওপর দিনে সশস্ত্র হামলা, রাতে বাড়িতে আগুন
সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতার ওপর দিনে সশস্ত্র হামলা, রাতে বাড়িতে আগুন
আগে রওনা দিয়েও এড়ানো গেলো না ‘নোটাম’, শাহজালালের ফ্লাইট গেলো ওসমানীতে
আগে রওনা দিয়েও এড়ানো গেলো না ‘নোটাম’, শাহজালালের ফ্লাইট গেলো ওসমানীতে
দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয় আটক
দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয় আটক
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীর বুকে-পেটে প্রকাশ্যে গুলি
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীর বুকে-পেটে প্রকাশ্যে গুলি
‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ফার্মাসিস্ট যুক্ত করার কথা ভাবছে সরকার’
‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ফার্মাসিস্ট যুক্ত করার কথা ভাবছে সরকার’