বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দীর্ঘ ২৭ বছর পর আইসিসি ট্রফি খরা কাটালো দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ঐতিহাসিক অর্জনের নায়ক দুজন- এইডেন মারক্রাম ও কাগিসো রাবাদা। মারক্রামের দ্বিতীয় ইনিংসের সেঞ্চুরিতে রান তাড়া করতে সফল হয় প্রোটিয়ারা, আর দুই ইনিংস মিলিয়ে আগুন বোলিংয়ে ৯ উইকেট নিয়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন রাবাদা।
ম্যাচ শেষে কোচ সুকরি কনরাডের কাছ থেকেও ভূয়সী প্রশংসা শুনেছেন রাবাদা, পেয়েছেন ‘সুপারস্টার’ তকমা। কিন্তু প্রোটিয়া পেসারের পা মাটিতে থাকছে। বিনয়ের সুর তার কণ্ঠে, ‘আমি নিজেকে একজন তারকা হিসেবে দেখি না। আমি নিজেকে এমন একজন হিসেবে দেখি যে এই দলের জন্য রক্ত দিতে প্রস্তুত।’
আরও উন্নতির লক্ষ্য রাবাদার, ‘আমি কঠোর পরিশ্রম ও উন্নতি করতে প্রস্তুত। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি সবসময় উন্নতি করতে চাই, অনেক গর্ব নিয়ে এই ব্যাজের জন্য খেলি। আমি খুব কঠোর পরিশ্রম করছি।’
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ২১২ রানে অস্ট্রেলিয়াকে গুটিয়ে দেয়। রাবাদা নেন ৫ উইকেট। যদিও ১৩৮ রানে তারা অলআউট হলে ৭৪ রানের লিড নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ২৮২ রানের লক্ষ্য দেয়। এই ইনিংসে রাবাদা পান চার উইকেট। জবাবে মারক্রামের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাও।
এই জয় দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য শিরোপার চেয়ে বেশি কিছু। কয়েক দশকের হতাশা, অল্পের জন্য চূড়ান্ত সাফল্য হাতছাড়া হওয়া ও বিশ্বমঞ্চে হৃদয় ভাঙার অবসান ঘটালো তারা। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার নয়। রাবাদা বললেন, ‘আমার জীবনে আমি এটি কখনও ভুলবো না। ছেলেদের কেউই ভুলবে না। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা, তারা অভিজ্ঞ দল। তাদের প্রতি যথেষ্ট সম্মান আছে। আমরা যখন হাইস্কুলে ছিলাম, তখনও তাদের কেউ কেউ খেলছিল। তাই এটা খুবই বিশেষ। সত্যিই ভাষায় বর্ণনা করতে পারছি না।’