দক্ষিণ কোরীয় বিমান বাহিনীর দুজন পাইলটের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অবহেলার অভিযোগ এনেছে দেশটির সামরিক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। সামরিক মহড়ার সময় একটি দুর্ঘটনার জন্য বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অপরাধ তদন্তকারী কমান্ড জানিয়েছে, ওই দুই পাইলটের ভুলের কারণে দুর্ঘটনাবশত একটি গ্রামে শেল আঘাত হানে। এয়ারক্র্যাফট সিস্টেমের অবস্থান যাচাই করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গত সপ্তাহে সামরিক মহড়া চলাকালে আকাশ থেকে ভূমিতে আঘাতে সক্ষম আটটি ক্ষেপণাস্ত্র পোচেয়ন গ্রামে আঘাত হানে। ওই ঘটনায় অন্তত ২৯ জন আহত হন। এছাড়া, সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তের কাছে গ্রামটি অবস্থিত। গ্রামটির কাছে দক্ষিণ কোরীয় ও মার্কিন সেনাবাহিনী প্রায়ই মহড়া চালিয়ে থাকে।
ওই এলাকায় সামরিক মহড়া চালানো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি ছিল। লোকালয়ের এত কাছে মহড়া চালানো খুবই বিপজ্জনক। গত সপ্তাহে সেই বিপদের কিছুটা আঁচ সরাসরি টের পাওয়া গেল।
দুর্ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বক্তব্য দিয়েছেন বিমান বাহিনী প্রধান। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দুই পাইলটকে দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যয়নপত্র যাচাই করে দেখার জন্য দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়েছে।
এদিকে, গত সপ্তাহের দুর্ঘটনার সুযোগে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেনি উত্তর কোরিয়া। তারা বরাবরই সীমান্তের কাছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মহড়ার বিষয়ে কড়া সমালোচনা করে আসছে। পিয়ংইয়ং বলেছে, ভুলক্রমে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সীমানা পার হয়ে উত্তর কোরিয়ার কোনও গ্রামে আঘাত করতে পারত। এসব ভুলের কারণেই অনেক সময় যুদ্ধ বেঁধে যায়।