ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য সৌদি আরবে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন রুশ ও মার্কিন প্রতিনিধিরা। সোমবারের (২৪ মার্চ) এই বৈঠক ফলপ্রসূ হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রবিবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উইটকফ বলেছেন, আমার বিশ্বাস, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী। সোমবার বাস্তবসম্মত কিছু অগ্রগতি হবে বলে আমি মনে করি।
তিনি আরও বলেছেন, কৃষ্ণসাগরে দু দেশের জাহাজ চলাচলের বিষয়ে একটা সমঝোতা তৈরি হবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে সামগ্রিক যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা দৃঢ় হবে।
যুদ্ধ অবসানের প্রাথমিক ধাপে জ্বালানি ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলা বন্ধের বিষয়ে আলোচনা চলমান আছে। সেই ধারাবাহিকতায় রবিবার সৌদি আরবে বৈঠক করেছেন ইউক্রেন ও মার্কিন কর্মকর্তারা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রবিবার সব পক্ষের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। বৈঠক ফলপ্রসূ ছিল। যুদ্ধবিরতির জন্য প্রতিনিধিরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে যত আলোচনাই হোক না কেন, হামলা বন্ধে পুতিনের দিক থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা আসার আগ পর্যন্ত বাস্তবসম্মত অগ্রগতি অর্জিত হবে না বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ বাহিনীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে। পায়ের নিচে মাটি সরে যাওয়ায় মার্কিন প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আর কোনও উচ্চবাচ্য করছেন না জেলেনস্কি। ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী ৩০ দিনের সামগ্রিক যুদ্ধবিরতিতে সায় দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের প্রস্তাব মোতাবেক ৩০ দিনের জন্য জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা স্থগিত রাখতে সম্মত হয়েছিলেন পুতিন। তবে সাম্প্রতিক কিছু খবর থেকে জানা গেছে, দুপক্ষই জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা অব্যাহত রেখেছে। ফলে সীমিত পরিসরে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়েও সন্দেহ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের দাবি, কিয়েভে গভীররাতে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ওই হামলার পাঁচ বছর বয়সী শিশুসহ তিন ব্যক্তি নিহত এবং একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সে সময় রাজধানী শহরজুড়ে বেশ কয়েকটি বহুতল ভবনে আগুন ধরে যায়।
একই দিন ৫৯ টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংসের দাবি করে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। ওই হামলায় রোসটোভ শহরে অন্তত এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।