দক্ষিণ লেবাননে হামাসের শীর্ষস্থানীয় এক নেতাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)। সিদন অঞ্চলে পরিচালিত ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্রগোষ্ঠীর কমান্ডার হাসান ফারহাতের নিহত হওয়ার খবরটি শুক্রবার (৪ এপ্রিল) জানিয়েছে আইডিএফ। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনায় জড়িত ছিলেন ফারহাত। ইসরায়েল ও তার জনগনের জন্য তার কর্মকাণ্ড হুমকি সৃষ্টি করেছিল।
আইডিএফ এর দাবি, গাজায় যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ইসরায়েলের বেসামরিক ও সামরিক নাগরিকদের ওপর একাধিক হামলা চালানোতে জড়িত ছিলেন ফারহাত। তার আদেশে গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরাঞ্চলীয় সাফেদ কমান্ড বেইজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পরিচালিত হয়। ওই হামলায় স্টাফ সার্জেন্ট ওমের সারাহ বেনজো নিহত এবং একাধিক সেনা আহত হন।
এদিকে, সিদনের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ইসরায়েলি হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে লেবানিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই হামলায় তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম অভিযোগ করেছেন, এই হামলা করে যুদ্ধবিরতি চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে তেল আবিব।
উল্লেখ্য, গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হামাসের সমর্থনে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। দু পক্ষে বছরখানেক পাল্টাপাল্টি হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে হিজবুল্লাহর সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করে ইসরায়েল।
তবে যুদ্ধবিরতির তোয়াক্কা না করে হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলিতে সম্প্রতি আবার হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। তাদের অভিযোগ, লেবানন থেকে ইসরায়েলের উদ্দেশে হিজবুল্লাহ দুবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
অবশ্য, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোনও ধরনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে হিজবুল্লাহ।