কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কয়েক সপ্তাহ ধরে সশস্ত্র আগ্রাসন চালিয়ে আসছে এম ২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সংকট চলাকালীন সম্প্রতি প্রথমবারের মতো কাতারের মধ্যস্থতায় কঙ্গো সরকারের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছে দলটি। আলোচনার বিষয়ে অবগত এক কর্মকর্তার বরাতে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ওই বৈঠকের ধারাবাহিকতায় আগামী সপ্তাহে দোহাতে আরেকটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কঙ্গোতে চলমান সহিংসতা বন্ধে আশা দেখাচ্ছে এই বৈঠক।
জানুয়ারি মাসে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক হামলা চালায় এম২৩। কয়েক সপ্তাহের সহিংসতায় হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া, প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। বর্তমানে দেশটির দুটি বৃহৎ শহর হামলাকারীদের দখলে রয়েছে।
এদিকে, কঙ্গোর প্রতিবেশী দেশ উগান্ডা ও বুরুন্ডির সেনাবাহিনীও পার্শ্ববর্তী এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। ফলে কঙ্গোর সহিংসতা থেকে ব্যাপক আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত সপ্তাহে রয়টার্স জানিয়েছিল, কঙ্গো সরকার ও এম২৩ বিদ্রোহীরা আগামী ৯ এপ্রিল দোহায় সরাসরি বৈঠকে বসতে পারে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এর আগেই একটি গোপন আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেছেন, আলোচনা ইতিবাচক ছিল। নিজেদের সদিচ্ছার প্রমাণস্বরূপ, কঙ্গোর গুরুত্বপূর্ণ ও খনিজসমৃদ্ধ শহর ওয়ালিকালে থেকে সরে গেছে বিদ্রোহীরা। উল্লেখ্য, ওয়ালিকালে অঞ্চলে টিনসহ মূল্যবান খনিজের বিপুল মজুদ রয়েছে।
এম২৩ ও কঙ্গো সরকারের পক্ষ থেকে শনিবার পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ৯ এপ্রিলের দোহা বৈঠক ঠিকভাবেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
গত মাসে এম২৩ বিদ্রোহীরা ওয়ালিকালে থেকে সরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে বেঁকে বসে। তাদের অভিযোগ ছিল, কঙ্গো সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে এবং আক্রমণ চালাতে সক্ষম ড্রোন সরিয়ে নেয়নি। তবে স্থানীয় কর্মকর্তাসহ দুই বাসিন্দা এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রয়টার্সকে নিশ্চিত করা হয়েছে, এম২৩ অবশেষে শহরটি ছেড়ে দিয়েছে।
জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, এম২৩ বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও সেনা সহায়তা দিচ্ছে রুয়ান্ডা। তবে রুয়ান্ডা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।