X
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
২ আষাঢ় ১৪৩২

অর্থনীতির প্রশ্নে ট্রাম্পে হতাশ মার্কিনিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৫আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৫

বড় আশা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছিলেন মার্কিনিরা। তাদের বিশ্বাস ছিল, মূল্যস্ফীতি কমিয়ে দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করে তুলবেন তিনি। তবে হোয়াইট হাউজের মসনদে বসার প্রথম ১০০ দিন ঘনিয়ে আসতে আসতে ট্রাম্পের জনসমর্থনে কিছুটা ভাটা পড়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রকাশিত রয়টার্স/ইপসোসের এক জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন অর্থনীতি সামলানোর ক্ষেত্রে ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট কেবল ৩৭ শতাংশ মানুষ। অথচ ক্ষমতায় আসার কয়েকঘণ্টা পর, কেবল মার্কিন অর্থনীতির সোনালি যুগ ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেই ৪২ শতাংশ মানুষের সমর্থন আদায় করেছিলেন ট্রাম্প।

মার্কিন চিন্তক সংস্থা, আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের একজন জ্যেষ্ঠ ফেলো জেমস পেথোকুকিস বলেছেন, আমরা একজন প্রেসিডেন্টকে পেয়েছি, যিনি সোনালি সময়ের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। অথচ যা থাকার কথা ছিল ওপর তা এখন নিম্নগামী, আর যে সূচক থাকা দরকার নিচে তা এখন ঊর্ধ্বগামী।

দায়িত্ব গ্রহণের শুরু থেকেই আগ্রাসী অর্থনৈতিক অ্যাজেন্ডা গ্রহণ করেন ট্রাম্প। নতুন নীতির আওতায় গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক অংশীদারদের ওপর শুল্কের বোঝা চাপিয়ে এবং সম্প্রতি মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নিজের ক্ষমতা প্রয়োগের চেষ্টা করে দেশের শেয়ার বাজারে একটা লেজেগোবরে পরিস্থিতি তৈরি করেন তিনি। শেয়ারবাজারে সূচক এতোটা নিম্নগামী শেষ দেখা গিয়েছিল পাঁচ বছর আগে কোভিড মহামারির সময়।

অবশ্য, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় শুল্কনীতিতে ট্রাম্প কিছুটা পিছু হটলেও, অর্থনীতিতে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, সেটা স্বাভাবিক হতে দীর্ঘ সময় লাগবে বলে মনে করেন পেথোকুকিস।

ট্রাম্পের অভিষেকের পরই আয়োজিত এক জরিপে প্রায় ৫৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছিলেন, ট্রাম্পের প্রথম ১০০ দিনের প্রধান অগ্রাধিকার উচিত মুদ্রাস্ফীতি বা সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নতি। আর ট্রাম্পের নিজের পছন্দের অভিবাসন ইস্যুর স্বপক্ষে মত দিয়েছিলেন মাত্র ২৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী।

সাম্প্রতিক জরিপে তিন-চতুর্থাংশ অংশগ্রহণকারী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র একটি মন্দার দিকে যাচ্ছে। আর ৫৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন, ট্রাম্পের অর্থনৈতিক পদক্ষেপ অত্যন্ত এলোমেলো।

অংশগ্রহণকারীদের কাছে আরও জানতে চাওয়া হয়, ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের ভবিষ্যৎ কী। এটা যাচাইয়ের জন্য বক্তব্য রাখা হয়, 'ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের কারণে অবসর জীবনে আমার ভোগান্তি হবে'- এর সঙ্গে একমত হয়েছেন ৫২ শতাংশ মানুষ এবং দ্বিমত পোষণ করেছেন ৩১ শতাংশ।

এদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার আমলে যে গড় সমর্থন পেয়েছেন, এখনও তার চেয়ে কিছু বেশি সমর্থন রয়েছে ট্রাম্পের। ট্রাম্পের সামগ্রিক জনসমর্থন এখন রয়েছে ৪২ শতাংশ। এই সমর্থকদের অধিকাংশই, অন্তত ৪৫ শতাংশ মানুষ, ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসী নীতির ভক্ত।

/এসকে/
সম্পর্কিত
শিগগিরই থামছে না ইরান-ইসরায়েল সংঘাত
ইরানি হামলার পর ইসরায়েলিদের আতঙ্ক ও হতাশার নতুন বাস্তবতা
ফ্রান্সে এয়ারশোতে ইসরায়েলি অস্ত্র প্রদর্শনী বন্ধ, ক্ষুব্ধ তেলআবিব
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু
‘করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু দেখছি না’
‘করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু দেখছি না’
কুষ্টিয়ায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
কুষ্টিয়ায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
শিগগিরই থামছে না ইরান-ইসরায়েল সংঘাত
শিগগিরই থামছে না ইরান-ইসরায়েল সংঘাত
সর্বাধিক পঠিত
নগরভবনে সভা করছেন ইশরাক, নামের সঙ্গে ‘মাননীয় মেয়র’
নগরভবনে সভা করছেন ইশরাক, নামের সঙ্গে ‘মাননীয় মেয়র’
কক্সবাজারে হোটেল থেকে ৪৮ তরুণ-তরুণী আটক
কক্সবাজারে হোটেল থেকে ৪৮ তরুণ-তরুণী আটক
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা থেকে সরে দাঁড়ালো ভারত?
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা থেকে সরে দাঁড়ালো ভারত?
রেমিট্যান্সের জোয়ারে হঠাৎ ভাটার টান
রেমিট্যান্সের জোয়ারে হঠাৎ ভাটার টান
মামলাজটে আটকে আছে প্রাথমিকের ৩২ হাজার শিক্ষকের পদোন্নতি
মামলাজটে আটকে আছে প্রাথমিকের ৩২ হাজার শিক্ষকের পদোন্নতি