গাজার জন্য ত্রাণ সহায়তা এবং স্বেচ্ছাসেবক বহনকারী একটি জাহাজে শুক্রবার (২ মে) ভোরবেলা ড্রোন হামলা করা হয়েছে। মাল্টার কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় হামলার শিকার জাহাজের কর্মীদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে মাল্টা সরকার। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
জাহাজটি পাঠিয়েছিল দ্য ফ্রিডম ফ্লোটিল্লা কোয়ালিশন নামের একটি আন্তর্জাতিক এনজিও। হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে সংস্থাটি বলেছে, ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করতে হবে। গাজায় ত্রাণ প্রবেশে অবরোধ এবং আন্তর্জাতিক জলসীমায় বেসামরিক বাহনে হামলার মতো অপরাধের জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মাল্টা সরকার জানায়, মধ্যরাতের কিছু পর সমুদ্র কর্তৃপক্ষের কাছে একটি জরুরি সংকেত আসে। তাদেরকে একটি জাহাজে আগুন লাগার খবর জানানো হয়। জাহাজটি মাল্টার আঞ্চলিক সীমানার বাইরে অবস্থান করছিল এবং এতে ১২ জন ক্রু ও চার জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।
এর আগে সামাজিক মাধ্যমে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন দাবি করেছিল, জাহাজে অবস্থানরত ৩০ জন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এই সংস্থাটি গাজায় ইসরায়েলি অবরোধের সমাপ্তি ঘটানোর জন্য একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারা সম্ভাব্য কোনও নাশকতা এড়াতে কোনও খবর না ছড়িয়ে তা চুপচাপ ত্রাণ নিয়ে আসতে চেয়েছিল বলে দাবি করা হয়।
সংস্থাটি দাবি করেছে, গাজায় এই মিশন সফল করার জন্য ২১টি দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা অংশ নিয়েছিল। তবে নির্ধারিত দিনে যাত্রা শুরুর সকালেই জাহাজটি হামলার শিকার হয়। বেসামরিক জাহাজটি দুবার ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে।
২০১০ সালে গাজা উদ্দেশে যাওয়া ফ্রিডম ফ্লোটিল্লা জোটের আরেকটি জাহাজকেও একই ধরনের মিশনের সময় থামিয়ে দেওয়া হয়। সে বার জাহাজে উঠে পড়ে ইসরায়েলি সেনারা। ওই ঘটনায় নয়জন কর্মী নিহত হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে অন্য কয়েকটি জাহাজও একইভাবে বাধা ও জব্দ করা হয়েছে, তবে সেসব ক্ষেত্রে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।