ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। রবিবার (৪ মে) সকালে আঘাত করা এই ক্ষেপণাস্ত্র ইয়েমেন থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
জরুরি পরিষেবার বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণে তৎক্ষণাৎ চারজন আহত হয়েছেন। এছাড়া, আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটে যাওয়ার সময় আরও দুজন আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
হামলার পর সতর্ক করে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ বলেছেন, আমাদের কেউ আঘাত করলে তা সাতগুণ শক্তিতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে, ইয়েমেনি হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সামরিক শাখার মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারিই বলেছেন, ইসরায়েলি বিমানবন্দর আর বিমানযাত্রার জন্য নিরাপদ নয়।
হামলার পর সাময়িকভাবে বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। তবে কিছুক্ষণ পরই আবার ফ্লাইট পরিষেবা চালু করা হয়।
ইসরায়েলি আকাশসীমায় ক্ষেপণাস্ত্রটি শনাক্ত হওয়া মাত্রই দেশের বিভিন্ন স্থানে সতর্ক সংকেত বাজানো শুরু হয়। অনলাইনের ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা গেছে, ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগ মুহূর্তে নিকটবর্তী সড়কে গাড়িচালকেরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্রটি আছড়ে পড়ে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী সৃষ্টি করে।
ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগেই তা ধ্বংস করতে পারার ব্যর্থতার কারণ তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।
ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা গাজাবাসীর সমর্থনে দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। তবে ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষাকে পরাস্ত করে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে তারা সচরাচর আঘাত হানতে পারে না।
হামাসের প্রতি সমর্থনে জানাতে তারা লোহিত সাগরেও কিছু অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পৃক্ততার অজুহাতে এ পর্যন্ত শ খানেক জাহাজে হামলা চালিয়েছে তারা। তবে ইদানীং তাদের এই হামলার জবাবে ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করেছে মার্কিন বাহিনী।