রাশিয়ার সামরিক কারখানাগুলোতে চীন বিভিন্ন রকম পণ্য সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে কিয়েভ। ইউক্রেনের বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ওলেহ ইভাশেঙ্কো সোমবার (২৬ মে) এ কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইউক্রিনফর্মে ইভাশেঙ্কো বলেছেন, আমাদের হাতে নিশ্চিত খবর রয়েছে যে রাশিয়াকে যন্ত্রপাতি, বিশেষ রাসায়নিক দ্রব্য, গান পাউডার এবং প্রতিরক্ষা খাতের বিভিন্ন পণ্য দিয়ে সহায়তা করছে চীন। অন্তত ২০টি রুশ কারখানার বিষয়ে আমরা এই তথ্য নিশ্চিত করতে পেরেছি।
এ বিষয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য জানতে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেছে রয়টার্স।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকে মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন।
গত মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন যে চীন রাশিয়াকে অস্ত্র এবং গানপাউডার সরবরাহ করছে। চীন সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করে। তবে বেইজিংয়ের বক্তব্যের পরও কিয়েভ তিনটি চীনা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ইভাশচেঙ্কো বলেছেন, ইউক্রেনের গোয়েন্দাদের কাছে ২০২৪ থেকে ২০২৫ সাল সময়ে রাশিয়া-চীনের মধ্যে বিমান খাতে কমপক্ষে পাঁচটি সহযোগিতার ঘটনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যন্ত্রপাতি, খুচরা যন্ত্রাংশ ও কারিগরি নথিপত্র সরবরাহ।
তিনি আরও জানান, বিশেষায়িত রাসায়নিকের ছয়টি বড় চালান চিহ্নিত করা হয়েছে।
ইউক্রেনের কোনও দাবি রয়টার্স স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।