আবারও বন্দি বিনিময় শুরু করেছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। এবারের পর্যায়ে প্রথম ধাপে সোমবার (৯ জুন) ২৫ বছরের কম বয়সীদের মুক্তি দেওয়া হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার ঠিক কতজন বন্দি বিনিময় হয়েছে, তা কোনও পক্ষ থেকেই জানানো হয়নি। তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় পাশই সমান সংখ্যক সেনাসদস্য বিনিময় করেছে।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার নিয়মিত নৈশ ভিডিও বার্তায় বলেছেন, রুশ পক্ষের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই বন্দি বিনিময় কয়েকধাপে সম্পন্ন হবে।
চলতি মাসের ২ তারিখে ইস্তানবুলে আয়োজিত বৈঠকে এই বিনিময়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে যুদ্ধ শেষ করার জন্য বৃহত্তর রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারলেও যুদ্ধবন্দি এবং নিহতদের দেহ ফেরত দেওয়ার মতো মানবিক ইস্যুতে দুই পক্ষ কিছুটা ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।
এবারের বন্দি বিনিময়ের লক্ষ্য হলো গুরুতর অসুস্থ বা আহত ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিয়ে ফিরিয়ে আনা। তবে সোমবার যাদের হস্তান্তর করা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই সুস্থ ও সচল দেখা গেছে।
আলোচনার সমঝোতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হয় যে, উভয় পক্ষ থেকেই অন্তত ১২০০ জন করে যুদ্ধবন্দি মুক্তি পাবেন এবং যুদ্ধে মারা যাওয়া কয়েক হাজার মানুষের দেহ হস্তান্তর করা হবে। সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে, এটি হতে যাচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বৃহত্তম বন্দি বিনিময়।
কিয়েভের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার মুক্তি পাওয়া ইউক্রেনীয় বন্দিদের অনেকে যুদ্ধের শুরু থেকেই রুশ জিম্মায় ছিলেন।
এদিকে, ক্রেমলিনের কর্মী ভ্লাদিমির মেদিনস্কি জানিয়েছেন, প্রথম দফায় রাশিয়ার পক্ষ থেকে ৬৪০ জন বন্দির একটি তালিকা ইউক্রেনকে দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ফিরে আসা রুশ সেনারা বর্তমানে বেলারুশে অবস্থান করছে। সেখানেই তাদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পরে তাদের রাশিয়ায় নেওয়া হবে।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরআইএ একটি ভিডিওতে দেখিয়েছে, মুক্ত সেনারা একটি বাসে উঠে আনন্দে হাত উঁচিয়ে চিৎকার করছেন এবং ‘রাশিয়া! রাশিয়া!’ স্লোগান দিচ্ছেন।