মধ্যপ্রাচ্য থেকে কিছু মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (১১ জুন) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, জায়গাটি (মধ্যপ্রাচ্য) খুব বিপজ্জনক বলেই তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে সরে যাওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। দেখা যাক, কী হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা হ্রাস করা সম্ভব কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তাদের (ইরান) কোনও পারমাণবিক অস্ত্র থাকা যাবে না। হিসাবটা খুবই সহজ।
বুধবার রাতে হালনাগাদ করা মার্কিন ভ্রমণ পরামর্শ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে জরুরি সেবার অন্তর্ভুক্ত নন এমন মার্কিন কর্মীদের (সাধারণ প্রশাসনিক কর্মকর্তা) সরিয়ে নিতে ১১ জুন নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপ এমন সময় নেওয়া হলো যখন পুরো অঞ্চলেই উত্তেজনা চরমে। ট্রাম্প প্রশাসনের ইরানের সঙ্গে নতুন পারমাণবিক চুক্তির প্রচেষ্টা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে এবং মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল।
চারজন মার্কিন ও দুজন ইরাকি কর্মীর বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরাকি দূতাবাস থেকে কিছু কর্মীকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ওয়াশিংটন। পাশাপাশি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণে মধ্যপ্রাচ্য ও এর আশেপাশে দায়িত্বরত সেনা সদস্যদের পরিবারকে দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এক মার্কিন কর্মী জানিয়েছেন, বাহরাইন ও কুয়েত থেকে স্বেচ্ছায় ফিরে আসার অনুমতি দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ঠিক কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি মাথাচাড়া দেওয়ায় আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ওই কর্মীরা তা জানাতে পারেননি। এদিকে, কর্মী সরিয়ে নেওয়ার খবর চাউড় হতেই তেলের দাম চার শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।