মিসরের হুরগাদা শহরের উপকূলীয় এলাকায় একটি ট্যুরিস্ট সাবমেরিন ডুবে যাওয়ায় অন্তত ছয়জন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এ ঘটনায় ২৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে উপকূল থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সাবমেরিনটিতে ৪০ জনের বেশি পর্যটক ছিলেন। এটি সিনবাদ নামের একটি সাবমেরিন, যা হুরগাদা বন্দরের কাছে ডুবে গেছে। কয়েক বছর ধরে এই সাবমেরিনটি হুরগাদা অঞ্চলে পর্যটকদের ভ্রমণ করাতো।
সিনবাদ সাবমেরিনসের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এটি বিশ্বের ১৪টি বিনোদনমূলক সাবমেরিনের মধ্যে একটি। এতে ৪৪টি আসন রয়েছে, যার মধ্যে দুটি পাইলটের জন্য বরাদ্দ। প্রত্যেক যাত্রীর জন্য বড় গোলাকার জানালা রয়েছে, যেখান থেকে সমুদ্রের নিচের দৃশ্য দেখা যায়। এটি সমুদ্রের ২৫ মিটার (৮২ ফুট) গভীরে ৫০০ মিটার প্রবাল প্রাচীর ও সামুদ্রিক প্রাণী দেখার সুযোগ দেয়।
এটি হুরগাদায় ট্যুরিস্ট নৌযানের প্রথম দুর্ঘটনা নয়। গত নভেম্বরে ‘সি স্টোরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট নৌযান ডুবে যায়, যাতে ১১ জন নিহত বা নিখোঁজ হন। মিসরীয় কর্তৃপপক্ষ তখন দাবি করেছিল, ৪ মিটার (১৩ ফুট) উচ্চতার একটি বিশাল ঢেউয়ের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে বিবিসির সঙ্গে কথা বলে কিছু উদ্ধারকৃত যাত্রী জানিয়েছিলেন, নৌযানটিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ত্রুটি ছিল।
যুক্তরাজ্যের তদন্তকারীরা গত মাসে জানিয়েছিলেন, গত পাঁচ বছরে এই অঞ্চলে ‘লিভঅ্যাবোর্ড’ নৌযান নিয়ে ১৬টি ঘটনা ঘটেছে, যার বেশ কয়েকটিতে প্রাণহানি ঘটেছে।
রাশিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে, সাবমেরিনটিতে থাকা সব পর্যটক রাশিয়ার নাগরিক। ফেসবুক পোস্টে তারা বলেছে, নৌযানটিতে ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে শিশুও ছিল। এ পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েকজন যাত্রীর খোঁজ চলছে।
হুরগাদা সমুদ্র সৈকত ও প্রবাল প্রাচীরের জন্য বিখ্যাত একটি পর্যটন কেন্দ্র।