আমাজন জঙ্গলের গভীরে বসবাসরত আদিবাসীদের সঙ্গে জোর করে সম্পর্ক তৈরির প্রচেষ্টা হবে গণহত্যার শামিল। সম্প্রতি আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা সংগঠনের পক্ষ ওই বনের একটি আদিবাসীদের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। এতে আমাজনের গভীরে বসবাসকারী গুয়াজাজারা আদিবাসী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এ আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
আধুনিক সভ্যতা ও মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন আমাজনের গভীর জঙ্গলের এসব আদিবাসীদের বিভিন্ন সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুজন নৃবিজ্ঞানী। এ দুই বিজ্ঞানী গভীর জঙ্গলে গত দুই বছর ধরে সময় কাটিয়েছেন। অধ্যাপক কিম হিল ও রবার্ট ওয়াকারের প্রস্তাব, আদিবাসীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা ও শিক্ষিত করে গড়ে তোলা দরকার। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জঙ্গলে প্রবেশ করার আগেই এটা করতে হবে।
তাদের এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে সার্ভাইভাল ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি দাতব্য সংস্থা। তারা সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে আমাজন বনের ব্রাজিলের উত্তর-পূর্ব দিকের অংশে বসবাস করেন এমন একটি আদিবাসীদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। গুয়াজাজারা নামক আদিবাসী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে দাবি সতর্ক করা হয়, জোর করে আধুনিক সভ্যতা ও মানুষের সঙ্গে যদি তাদের সম্পর্ক স্থাপন করা হয় তাহলে এটা গণহত্যার শামিল হবে।
ভিডিওতে আদিবাসীদের পক্ষ থেকে জমি ও জঙ্গল কেড়ে নেওয়ারও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
সার্ভাইভাল ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক ফিওনা ওয়াটসন জানান, রাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার বিষয়টি নিজেরাই দেখছে আদিবাসী গোষ্ঠীটি। এর আগেও এরকম জোর করে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। ওই সব ক্ষেত্রেও গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে ওয়াকার ও হিলকেও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে এই আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
/এএ/