X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

প্রাচীন মায়া সভ্যতার বিলুপ্তিতে খরার ভূমিকা

বিদেশ ডেস্ক
০৩ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৩৬আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৩৮
image

প্রাচীন মায়া সভ্যতা প্রচণ্ড খরার শিকার হয়ে বিলুপ্ত হয়েছে, দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা। এক হাজার বছর আগে মেক্সিকো অঞ্চলে ওই খরা দেখা দিয়েছিল। খরার এই ভূমিকার কথা খুঁজে বের করতে বিজ্ঞানীরা ওই অঞ্চলের লেক থেকে জিপসামের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তার ভেতরে জমে থাকা পানির নমুনা পরীক্ষা করে খরার উপস্থিতিরতির বিষয়ে ধারণা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে ওই সময়কার আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা করছেন এমন একজন বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, মায়া সভ্যতার শহরটি যখন পরিত্যক্ত হয় তখন ওই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। প্রাচীন মায়া সভ্যতার বিলুপ্তিতে খরার ভূমিকা

প্রাচীন মায়া সভ্যতা ২৫০ থেকে ৮০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সংগঠিত ছিল। ওই সময়কালের পরে অজানা কোনও কারণে সভ্যতাটি বিলুপ্ত হয়। মায়ারা শেষ পর্যন্ত তারা ওই অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু পরবর্তীতে ইউরোপীয় শক্তিগুলো ওই এলাকায় উপস্থিত হতে শুরু করলে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে তারা অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। মায়া সভ্যতার পতনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যুদ্ধ ও বাণিজ্যের সুযোগ হারানোর কথা উল্লেখ করা হয়।

কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক নিক ইভানস বলেছেন, ‘মায়া সভ্যতার পতনের জন্য দায়ী প্রাকৃতিক কারণ কোনটি তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। ওই সময়ের আবহাওয়া শুষ্ক ছিল না কি আর্দ্র ছিল তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেন। আমাদের গবেষণার ফলে এ বিষয়ে দুর্দান্ত আগ্রগতি হয়েছে। কারণ আমরা মায়া সভ্যতার পতনের সমসাময়িককালে বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতার হিসেব বের করতে পেরেছি।’

বিজ্ঞানীরা ইউকাটান উপদ্বীপের স্থানীয় লেক থেকে জিপ্সামের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা চালিয়েছেন। লেকটির নাম চিচানকানাব। বিজ্ঞানীরা জিপসামের ক্রিস্টালের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে থাকা পানি পরীক্ষা করে তাদের ফলাফল প্রস্তুত করেছেন। সায়েন্স সাময়িকীতে সদ্য গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হলেও এর পেছনে ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে নব্বই দশকের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য। সেখানেই দাবি করা হয়েছিল, অর্থনতিক ও রাজনৈতিক বিষয়ের পাশাপাশি মায়া সভ্যতার বিলুপ্তিতে খরারও ভূমিকা রয়েছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, খরার সময় যখন লেকের পানি বাষ্পীভূত হয় তখন পানির হালকা আইসোটোপগুলো বাষ্পীভূত হয় অনেক দ্রুত। ফলে পানির ভারী আইসোটোপগুলোর বেশি সংখ্যায় উপস্থিতি প্রমাণ করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় খরা হয়েছিল। ইভান্স বলেছেন, ‘এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত নিখুঁত। এটি এতটাই নিশ্চিত ফলাফল দেয় যেন সরাসরি পানি পরীক্ষা করেই এই ফলাফল পাওয়া গেছে।’ খরা সংক্রান্ত এই তথ্য ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা করবেন, ওই অঞ্চলের কৃষির ওপর খরার প্রভাব কেমন ছিল। সেখান থেকে মায়া সভ্যতা বিলুপ্ত হওয়ার সার্বিক প্রেক্ষাপটের বিষয়ে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।

/এএমএ/
সম্পর্কিত
পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন ট্রাম্প
শিকাগোর নাইটক্লাবের বাইরে গুলিতে নিহত ৪, আহত ১৪
ট্রাম্পের কর বিল নিয়ে চূড়ান্ত ভোট আজ
সর্বশেষ খবর
জুলাই আন্দোলনে নিহত ৬ সাংবাদিক: কেমন আছে তাদের পরিবার
জুলাই আন্দোলনে নিহত ৬ সাংবাদিক: কেমন আছে তাদের পরিবার
কুমিল্লায় বিদেশি পিস্তলসহ বিএনপি নেতা গ্রেফতার
কুমিল্লায় বিদেশি পিস্তলসহ বিএনপি নেতা গ্রেফতার
জোতার মৃত্যুতে ক্লাব বিশ্বকাপে শোকে মুহ্যমান আল হিলাল
জোতার মৃত্যুতে ক্লাব বিশ্বকাপে শোকে মুহ্যমান আল হিলাল
পুকুরের পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
পুকুরের পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
খেলাপিতে ধসে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বিপদে আমানতকারীরা
খেলাপিতে ধসে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বিপদে আমানতকারীরা