যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সতর্ক করেছে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র গাজায় আটকে পড়া মার্কিন নাগরিকদের মিসর নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরাপদ পথ খুঁজছে। রবিবার তিনি এই সতর্কতার কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গাজায় স্থল অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। রবিবার ইসরায়েল বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলের ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়ার সুযোগ অব্যাহত থাকবে। তবে কখন স্থল অভিযান শুরু হবে তা সম্পর্কে কোনও ঘোষণা দেওয়া হয়নি। গাজা সীমান্তে কয়েক শ’ ট্যাংক ও লাখো রিজার্ভ সেনা মোতায়েন করেছে দেশটি। ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন নিহতের পর গাজায় বোমা বর্ষণ করে আসছে ইসরায়েলি সেনারা। বোমা বর্ষণে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩২৯ জনে।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএস-এর একটি অনুষ্ঠানে জ্যাক সুলিভান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মূল মনযোগ হলো গাজা ছেড়ে যাওয়া মানুষদের খাবার, পানি ও আশ্রয় নিশ্চিত করা এবং তারা যেনও নিরাপদ স্থানে যেতে পারেন।
তিনি বলেছেন, সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধির একটি ঝুঁকি রয়েছে, উত্তর দিকে দ্বিতীয় রণক্ষেত্র শুরু হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই ইরানের সংশ্লিষ্টতা থাকবে। লেবাননের হিজবুল্লাহকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে।
অপর এক সম্প্রচারমাধ্যমকে সুলিভান বলেছেন, গাজার অধিকাংশ মানুষের সঙ্গে হামাসের কোনও সম্পর্ক নেই। তাদের শ্রদ্ধা, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রাপ্য।
তিনি দাবি করেছেন, ইসরায়েলের সামরিক পরিকল্পনায় হস্তক্ষেপ করছে না যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলের সঙ্গে প্রকাশ্য ও একান্ত আলোচনায় যুদ্ধের আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা এবং গণতান্ত্রিক অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
সুলিভান বলেছেন, ইসরায়েলে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিয়েছেন, তা সেইসব পক্ষের প্রতি একটি সতর্কবার্তা যারা এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা তুলতে চাইবে।