X
সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪
৩ আষাঢ় ১৪৩১

ইন্দোনেশিয়ায় ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্পেই সুনামির আতঙ্ক

বিদেশ ডেস্ক
২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৫০আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:৩১
image

মাত্র ছয় দিন আগে ভয়ংকর সুনামির আঘাতে বিপর্যস্ত ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে শুক্রবার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের ফলে সুনামির আতঙ্কে থাকা মানুষেরা বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ঘর-বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ ভূমিকম্পটি ৬.১ মাত্রার ছিল বলে জানিয়েছে। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, এর মাত্রা ছিল ৫.৮। তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পে সুনামির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে। 

মানোকোয়ারি ম্যাপ

শনিবার (২২ ডিসেম্বর) দেশটির উপকূলীয় শহর সুমাত্রা ও জাভায় কোনও পুর্বাভাস ছাড়াই সুনামি ভয়াবহ আঘাত হানে। আনাক কারাকাতাউ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সাগরতলে ভূমিধসের কারণেই এই সুনামির উৎপত্তি।  সুনামির আঘাতে নিহত হয়েছেন ৪৩০ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ১৫৯ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১৫০০ জন এবং কয়েক হাজার ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। নতুন সুনামির আশঙ্কায় আনাক কারাকাতাউ আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের সৈকত থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই সতর্কতা এখনও বহাল রয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটি ওই এলাকার উপর দিয়ে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

শুক্রবার ওয়েস্ট পাপুয়াতে অনুভূত হওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মানোকোয়ারি এলাকার কাছে। তবে এতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, এতে সুনামির আশঙ্কা নেই।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থার মুখপাত্র সোতোপো পুরয়ো নুগরোহো বলেন, ‘মানোকোয়ারি সেলাতানের বাসিন্দারা ছয় সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভব করেছেন। এতে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং ঘর-বাড়ি ও ভবন ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসে।’

ভূমিকম্পপ্রবণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়া। ভূ-তাত্ত্বিকভাবে ‘রিং অব ফায়ার’ নামে পরিচিত অঞ্চলটিতে প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায়।  শনিবারের সুনামিটি ছিল মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানের তৃতীয় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু এলাকায় ৭.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পর সেখানে আঘাত হানে সুনামি। এতে হাজার খানেক মানুষের মৃত্যু হয়। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরে ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ১৩ দেশের ২ লাখ ২৬ হাজার মানুষ নিহত হয়। এদের মধ্যে শুধু ইন্দোনেশিয়াতেই প্রাণ হারায় ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ। 

/এফইউ/এএ/
সম্পর্কিত
মিয়ানমারের মংডুতে সংঘাতে আটকে পড়ার ঝুঁকিতে ৭০ হাজার রোহিঙ্গা
সৌর ঘূর্ণনের নতুন বিন্যাসের দেখা পেলেন চীনা বিজ্ঞানীরা
মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধে ড্রোনের ব্যবহার: পাল্টে যাচ্ছে আক্রমণ ও প্রতিরোধের সমীকরণ
সর্বশেষ খবর
চালের দামে সন্তুষ্ট সরকার, মজুত আলুতে চলবে চার মাস
গোয়েন্দা তথ্যে ‘বাজার ম্যানিপুলেশন’চালের দামে সন্তুষ্ট সরকার, মজুত আলুতে চলবে চার মাস
মিয়ানমারের মংডুতে সংঘাতে আটকে পড়ার ঝুঁকিতে ৭০ হাজার রোহিঙ্গা
মিয়ানমারের মংডুতে সংঘাতে আটকে পড়ার ঝুঁকিতে ৭০ হাজার রোহিঙ্গা
দেড়যুগ ধরে ঈদের আনন্দ নেই: মির্জা আব্বাস
খালেদা জিয়ার ‘ঈদ মোবারক’দেড়যুগ ধরে ঈদের আনন্দ নেই: মির্জা আব্বাস
কমিটি পুনর্গঠনের কারণ আন্দোলনে ব্যর্থতা নয়, জানালেন মির্জা আব্বাস
কমিটি পুনর্গঠনের কারণ আন্দোলনে ব্যর্থতা নয়, জানালেন মির্জা আব্বাস
সর্বাধিক পঠিত
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: শান্তি সম্মেলন শেষে চূড়ান্ত ঘোষণায় যা বললো সুইজারল্যান্ড
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: শান্তি সম্মেলন শেষে চূড়ান্ত ঘোষণায় যা বললো সুইজারল্যান্ড
জাপান যাওয়ার পথে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর বিমান ভেঙে পড়েছে
জাপান যাওয়ার পথে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর বিমান ভেঙে পড়েছে
ছাগলেই স্বস্তি!
ছাগলেই স্বস্তি!
ঈদের ৫ ছবি: ১২৯ প্রেক্ষাগৃহে ‘তুফান’, ৩৫টিতে বাকি ৪!
ঈদের ৫ ছবি: ১২৯ প্রেক্ষাগৃহে ‘তুফান’, ৩৫টিতে বাকি ৪!
নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ
নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ