আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মার্কিন বাহিনীর আফগানিস্তান ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরইমধ্যে সে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন করে তিন হাজার সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেয় মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। কিন্তু হুট করেই কেমন এমন সিদ্ধান্ত? সাংবাদিকদের কাছে এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এবং পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, কাবুলে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস থেকে জনবল আরও কমিয়ে আনবে ওয়াশিংটন। এসব কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। তবে তালেবানের উত্থানজনিত নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে এক্ষেত্রে বিকল্প চিন্তা করছে হোয়াইট হাউজ। পরিকল্পনা অনুযায়ী, কর্মীদের সরিয়ে নিতে সহায়তার জন্য আফগানিস্তানে বাড়তি তিন হাজার সেনা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছেন, কাবুলের দূতাবাসটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে না। কিছু জনবল কমানো হলেও দূতাবাস চালু থাকবে। তবে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় কাবুলে মার্কিন নাগরিকদের পদচারণা সীমিত করা হচ্ছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, দূতাবাস কর্মীদের পাশাপাশি মার্কিন বিশেষ অভিবাসী ভিসা (এসআইভি) আবেদনকারীদের সরিয়ে নিতে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে তিন হাজার সেনা পাঠাবে। তবে এসব সেনারা দেশটিতে দীর্ঘদিন অবস্থান করবে না। কারণ, এটি একটি অস্থায়ী মিশন।
দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মার্কিন বাহিনী আক্রান্ত হলে এর উপযুক্ত পাল্টা জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন জন কিরবি।
এদিকে আফগানিস্তানে তালেবানের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। গত সাত দিনে দেশটির ১১টি প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিতে সমর্থ হয়েছে দলটি। প্রায় ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ায় দ্রুতগতিতে অগ্রসর হচ্ছে গোষ্ঠীটি। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে তারা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তালেবানের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন সমর্থিত আফগান সরকার।