রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাকিস্তানে বাড়ছে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা। কয়েক দফা দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি। এবার নাগরিকেদের আরও এক দুসংবাদ দিলো পাকিস্তান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (পিবিএস)। শনিবার তারা জানায়, ৬৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে পাকিস্তানে। বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় দিনে দিনে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। নানা পদক্ষেপেও এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারছে না শাহবাজ শরিফ সরকার।
এছাড়া, পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ও শুক্রবার তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগত হার এবং রুপির অবমূল্যায়নের আগে নেওয়া নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে।
পিবিএস জানায়, মার্চ মাসে দেশটির ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) দাঁড়িয়েছে ৩৫.৩৭ শতাংশে। অন্যদিকে বিনিয়োগ সংস্থা আরিফ হাবিব করপোরেশন বলছে, ১৯৬৫ সালের জুলাই মাসের পর সিপিআই সর্বোচ্চ বেড়েছে। এক বছর আগে এই সময়ে মুদ্রাস্ফীতি ১২.৭২ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছিল।
পিবিএস-এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতি বেশি। শহরে যেখানে মুদ্রাস্ফীতির হার ৩২.৯৭, সেখানে গ্রামে ৩৮.৮৮ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি পরিসখ্যানে উঠে এসেছে।
গত সপ্তাহে সংবেদনশীল মূল্য সূচক (এসপিআই) দিয়ে পরিমাপ করা স্বল্পমেয়াদী মূল্যস্ফীতির হার রেকর্ড ৪৬.৬৫ শতাংশে পৌঁছায়; যেখানে সিপিআই এর রেকর্ড করা মাসিক মুদ্রাস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে ৩১.৬ শতাংশে ছিল।
CPI for the month of Mar’23 clocked in at 35.4% YoY (+3.7% MoM). This is the highest YoY inflation since the available data i.e. July 1965. This takes 9MFY23 average inflation to 27.3% compared to 10.8% in 9MFY22.@PBSofficialpak @StateBank_Pak#Inflation #Pakistan #Economy #AHL pic.twitter.com/JaXWJUP8IW
— Arif Habib Limited (@ArifHabibLtd) April 1, 2023
দ্য ডনের খবরে বলা হয়, গত বছরের জুন থেকে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ২০ শতাংশের ওপরে থাকার কারণে গত কয়েক মাস ধরে দাম দ্রুত বেড়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা শাখাও অকার্যকর নীতিগত ব্যবস্থা এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের অসহায়তার কথা স্বীকার করেছে। তারা বলছে, এসবিপি-র সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি সত্ত্বেও, মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশা স্থির হচ্ছে না।
এটি সতর্ক করে বলেছে যে রমজানের সময় প্রচুর কেনাকাটা চাহিদা-সরবরাহের ব্যবধানের কারণ হতে পারে। ফলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।