পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেফতার হওয়ায় দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। তার মুক্তির দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদের পাশাপাশি অন্যান্য প্রদেশেও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছে খাইবার পাখতুনখাওয়া ও পাঞ্জাব সরকার।
প্রশাসন এবং অন্যান্য বাহিনীকে সহায়তায় সেনা নামানোর অনুরোধ জানায় পাঞ্জাব সরকার। এরই অংশ হিসেবে অনুমোদন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ইমরান খানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ইসলামাবাদ ছাড়াও কয়েকটি জায়গায় সহিংস বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। সহিংসতা জড়িত থাকার অপরাধে প্রায় এক হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
এক বিবৃতিতে পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, প্রদেশে সরকারি সম্পত্তি, পুলিশের বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর, জনগণের সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করাসহ বিভিন্ন কারণে তাদের আটক করা হয়।
বিক্ষোভকারীদের হামলায় পুলিশের ১৩০ জনের বেশি পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে বিবৃতিতে।
পাঞ্জাব পুলিশের মুখপাত্র বলেন, পুলিশ ও সরকারি সংস্থার ২৫টির বেশি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেছেন পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. ওসমান আনোয়ার।
আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে মঙ্গলবার লাহোর থেকে ইসলামাবাদের আদালতে এসেছিলেন ইমরান খান। এসময় আদালতের বাইরে থেকে আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা কাঁচের জানালা ভেঙে আইনজীবী এবং ইমরানের নিরাপত্তা কর্মীদের মারধর করার পরে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং যুক্তরাজ্য তাদের নাগরিক এবং দূতাবাসের কর্মীদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতামূলক পরামর্শ জারি করেছে। সূত্র: জিও নিউজ