উত্তর কোরিয়ার এক সিনিয়র কর্মকর্তার সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এমন সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো যখন যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সক্ষম এমন আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে পিয়ংইয়ং। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বৈঠকে ওয়াং ইয়ি উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র-বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার পাক মিয়োং হোকে বলেছেন, চীন সব সময় উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ককে একটি কৌশলগত ও দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করে।
ওয়াং আরও বলেছেন, দ্বিমুখী যোগাযোগ ও সমন্বয় জোরদার এবং বিনিময় ও সহযোগিতা গভীর করতে আগ্রহী চীন।
বিস্তারিত উল্লেখ না করে মন্ত্রণালয় বলেছে, ওয়াং ও পাক দুই দেশের সাধারণ উদ্বেগের ইস্যুগুলো নিয়ে ম বিনিময় করেছেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তর কোরিয়ার একমাত্র মিত্র দেশ হলো চীন। ১৯৬১ সালের একটি চুক্তি অনুসারে তৃতীয় কোনও দেশ কর্তৃক হামলা বা হামলার চেষ্টা হলে সামরিক সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপসহ একে অপরকে সহযোগিতা করতে বাধ্য।
রবিবার রাতে একটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর সোমবার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলিউশন অনুসারে, উত্তর কোরিয়ার সব ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিষিদ্ধ। কিন্তু পিয়ংইয়ং এসব পরীক্ষার পক্ষে যুক্তি হিসেবে সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিরক্ষার অধিকারের কথা বলে আসছে।
চীনা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পাক বলেছেন, উভয়ের স্বার্থ এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার সুরক্ষায় চীনের সঙ্গে বহুমুখী সম্পর্ক জোরদার করে যাবে উত্তর কোরিয়া।
গত সপ্তাহে বিরল সফরে বেইজিং পৌঁছেছেন পাক। আগামী বছর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন করা হবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপের সমস্যাগুলো জটিল। নিজেদের সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।