পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে ১ মার্চের মধ্যে শপথ নিতে হবে। তাকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আল আলভি। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।
নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর শপথ ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার অথবা ১ মার্চ শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবন বা আইওয়ান-ই-সদরে অনুষ্ঠিত হবে। তার আগেই ২৮ বা ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে জাতীয় পরিষদ।
ধারণা করা হচ্ছে, পিএমএল-এন সভাপতি শেহবাজ শরীফকেই নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে জাতীয় পরিষদ।
এর আগে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, ২০২২ সালের ১১ এপ্রিল পাকিস্তানের ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন শেহবাজ শরীফ।
শপথ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা; প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা; জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা; সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল সৈয়দ অসীম মুনীর; নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আমজাদ খান নিয়াজী; বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর; তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার হক কাকার; ফেডারেল মন্ত্রিসভার সদস্য; বিদেশি রাষ্ট্রদূত; হাই কমিশনার; জ্যেষ্ঠ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা; সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারক; ফেডারেল সচিব; পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল; পাকিস্তানের অডিটর জেনারেল; পাঞ্জাব ও সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী; প্রদেশের গভর্নর; এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
এদিকে, পাকিস্তানের সংবিধানের ৪১(৫) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার কারণে যদি ওই সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয়,তখন সাধারণ নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে।
সে হিসেবে, আগামী ৯ মার্চ পাকিস্তানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।