৯ মার্চের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। সিনেটের প্রায় অর্ধেক সদস্যদের ছয় বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই দিন আগে এই নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-এর এক নেতা পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ডন এ খবর জানিয়েছে।
পিপিপির নেতা বলেছেন, চারটি প্রাদেশিক গঠন সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ৯ বা ১০ মার্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলের নেতা শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে ছয় দলীয় জোট সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। জোটে রয়েছে পিপিপি। এই জোটের সম্মতিতে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে পারেন আসিফ আলী জারদারি।
সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফের পদত্যাগের পর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছিলেন জারদারি। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
পাকিস্তানের সংবিধানের ৪১ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, দায়িত্ব গ্রহণের পর পাঁচ বছর প্রেসিডেন্টের মেয়াদ। কিন্তু পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব করতে পারবেন। প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬০ দিন আগে এবং শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে। এর ফলে, জাতীয় পরিষদ গঠিত না হওয়ায় ওই সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা না গেলে সাধারণ নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে তা সম্পন্ন করতে হবে।
সাধারণ নির্বাচন ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ৯ মার্চের মধ্যে আয়োজন করতে হবে। যা ১০০ সদস্যের সিনেটের অর্ধেকের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই দিন আগে পড়বে।
সূত্র মতে, সিনেট নির্বাচন মার্চের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন সূচি অনুসারে মার্চের শেষ সপ্তাহ বা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর অর্থ হলো কয়েক সপ্তাহ পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সক্রিয় থাকবে না।