X
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫
২০ বৈশাখ ১৪৩২

মালদ্বীপে চীনপন্থি ক্ষমতাসীন দলের জয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৫আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৫

মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় পেয়েছে প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)। রবিবার (২১ এপ্রিল) রাতে পার্লামেন্টের ৯৩টি আসনের ৮৬টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে ৬৬টি আসনে জয় পায় পিএনসি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

এর ফলে ঐতিহ্যগত মিত্র ভারতের বলয় থেকে বেরিয়ে এসে চীনপন্থি নীতির প্রতি ঝুঁকে পড়বে মালদ্বীপ।

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পার্লামেন্টের সব আসনের তিন চতুর্থাংশই পিএনপি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। তাই এই বিজয়কে সুপার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জয় বলা হচ্ছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

প্রায় এক হাজার ১৯২ টি ক্ষুদ্র প্রবাল দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত দেশটিতে মে মাসের শুরুতেই নতুন সরকারের শপথ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। অবশ্য জলবায়ু সংকটের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে মালদ্বীপ।

গত মেয়াদে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া মালদ্বীভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি) মাত্র ডজনখানেক আসন নিয়ে এবার বেশ বেকায়দাতেই পড়েছে। দলটি ভারতপন্থি হিসেবেই বেশি পরিচিত যার নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ।

মালদ্বীপের স্থানীয় সংবাদপত্র মিহারু জানিয়েছে, নির্বাচনে ৪১ জন নারী প্রার্থী অংশ নেয়। তবে তাদের মধ্যে কেবল তিনজন জয়ী হয়েছেন, যারা মুইজ্জুর দলেরই সদস্য।

মুইজ্জু এবছর নিজে ভোটে লড়েননি। তবে তার দল প্রচারে চীনের বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছিল। মোহামেদ মুইজ্জু চীনপন্থি রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। ফলে তার দলের বিপুল ভোটে জয় মালদ্বীপকে আরো বেশি চীনমুখি করবে বলেই বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন।

মালদ্বীপের ভোটের দিকে নজর ছিল ভারত এবং চীন দুই পক্ষেরই। দীর্ঘদিন ধরে মালদ্বীপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ভারত। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে বিভিন্ন সময়ে অর্থনৈতিক এবং সামরিক সাহায্য করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বাণিজ্যক্ষেত্রেও মালদ্বীপের পাশে থেকেছে ভারত। মালদ্বীপের পার্লামেন্ট বরাবরই ভারতের বন্ধু হিসেবে কাজ করেছে। কিন্তু মুইজ্জু দেশের এই ভারতপন্থি অবস্থানের বিরোধিতা করেন।

ভারত মহাসাগরের উপর একটি ছোট দ্বীপ হলেও ভারত এবং চীনের কাছে মালদ্বীপের গুরুত্ব আছে। তার কারণ, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে একটি কৌশলী এলাকায় মালদ্বীপের অবস্থান। সেখানে সেনা ঘাঁটি তৈরি করে ভারত মহাসাগরে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছিল ভারত। এবার সেখান থেকে সেনা সরিয়ে নিতে হলে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হারাবে। অন্যদিকে এই একই কারণে চীনও মালদ্বীপের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াতে চায়।

/এস/
সম্পর্কিত
স্বেচ্ছায় ২ শতাধিক সাপের কামড় খাওয়া ব্যক্তির রক্তে যুগান্তকারী অ্যান্টিভেনম
আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তালেবানকে সহায়তা করবে রাশিয়া
মার্কিন বাজেটে ১৬৩ বিলিয়ন ডলার সংকোচনের প্রস্তাব
সর্বশেষ খবর
পল্টনে ভবনে আগুন: প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে
পল্টনে ভবনে আগুন: প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে
তেজগাঁওয়ে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৭৪
তেজগাঁওয়ে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৭৪
আর্সেনালের মাঠে জিতে বোর্নমাউথের ইতিহাস
আর্সেনালের মাঠে জিতে বোর্নমাউথের ইতিহাস
আর্সেনাল ম্যাচের ১০ জনকে বেঞ্চে রেখে লিগে টানা হার পিএসজির
আর্সেনাল ম্যাচের ১০ জনকে বেঞ্চে রেখে লিগে টানা হার পিএসজির
সর্বাধিক পঠিত
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
টিএসসিতে নারী প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ, সমালোচনার ঝড়
টিএসসিতে নারী প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ, সমালোচনার ঝড়
ইঞ্জিন বিকল, মাঝপথে থামলো চলন্ত ট্রেন
ইঞ্জিন বিকল, মাঝপথে থামলো চলন্ত ট্রেন