X
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
১ শ্রাবণ ১৪৩২

মালদ্বীপে চীনপন্থি ক্ষমতাসীন দলের জয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৫আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৫

মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় পেয়েছে প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)। রবিবার (২১ এপ্রিল) রাতে পার্লামেন্টের ৯৩টি আসনের ৮৬টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে ৬৬টি আসনে জয় পায় পিএনসি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

এর ফলে ঐতিহ্যগত মিত্র ভারতের বলয় থেকে বেরিয়ে এসে চীনপন্থি নীতির প্রতি ঝুঁকে পড়বে মালদ্বীপ।

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পার্লামেন্টের সব আসনের তিন চতুর্থাংশই পিএনপি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। তাই এই বিজয়কে সুপার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জয় বলা হচ্ছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

প্রায় এক হাজার ১৯২ টি ক্ষুদ্র প্রবাল দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত দেশটিতে মে মাসের শুরুতেই নতুন সরকারের শপথ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। অবশ্য জলবায়ু সংকটের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে মালদ্বীপ।

গত মেয়াদে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া মালদ্বীভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি) মাত্র ডজনখানেক আসন নিয়ে এবার বেশ বেকায়দাতেই পড়েছে। দলটি ভারতপন্থি হিসেবেই বেশি পরিচিত যার নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ।

মালদ্বীপের স্থানীয় সংবাদপত্র মিহারু জানিয়েছে, নির্বাচনে ৪১ জন নারী প্রার্থী অংশ নেয়। তবে তাদের মধ্যে কেবল তিনজন জয়ী হয়েছেন, যারা মুইজ্জুর দলেরই সদস্য।

মুইজ্জু এবছর নিজে ভোটে লড়েননি। তবে তার দল প্রচারে চীনের বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছিল। মোহামেদ মুইজ্জু চীনপন্থি রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। ফলে তার দলের বিপুল ভোটে জয় মালদ্বীপকে আরো বেশি চীনমুখি করবে বলেই বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন।

মালদ্বীপের ভোটের দিকে নজর ছিল ভারত এবং চীন দুই পক্ষেরই। দীর্ঘদিন ধরে মালদ্বীপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ভারত। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে বিভিন্ন সময়ে অর্থনৈতিক এবং সামরিক সাহায্য করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বাণিজ্যক্ষেত্রেও মালদ্বীপের পাশে থেকেছে ভারত। মালদ্বীপের পার্লামেন্ট বরাবরই ভারতের বন্ধু হিসেবে কাজ করেছে। কিন্তু মুইজ্জু দেশের এই ভারতপন্থি অবস্থানের বিরোধিতা করেন।

ভারত মহাসাগরের উপর একটি ছোট দ্বীপ হলেও ভারত এবং চীনের কাছে মালদ্বীপের গুরুত্ব আছে। তার কারণ, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে একটি কৌশলী এলাকায় মালদ্বীপের অবস্থান। সেখানে সেনা ঘাঁটি তৈরি করে ভারত মহাসাগরে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছিল ভারত। এবার সেখান থেকে সেনা সরিয়ে নিতে হলে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হারাবে। অন্যদিকে এই একই কারণে চীনও মালদ্বীপের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াতে চায়।

/এস/
সম্পর্কিত
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের হুমকি দিলো ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা গভীর করতে আগ্রহী বেইজিং: চীনা প্রধানমন্ত্রী
আফগানদের পুনর্বাসনের পরিকল্পনায় যুক্তরাজ্যে দাঙ্গার শঙ্কা
সর্বশেষ খবর
ব্লকেড সরিয়ে নিন, সড়কের একপাশে অবস্থান করুন: নাহিদ ইসলাম
ব্লকেড সরিয়ে নিন, সড়কের একপাশে অবস্থান করুন: নাহিদ ইসলাম
মালয়েশিয়ায় আরও বাংলাদেশি আটকের ইঙ্গিত
মালয়েশিয়ায় আরও বাংলাদেশি আটকের ইঙ্গিত
নাহিদের আহ্বানে পর শাহবাগ ছাড়ছেন এনসিপি নেতাকর্মীরা
নাহিদের আহ্বানে পর শাহবাগ ছাড়ছেন এনসিপি নেতাকর্মীরা
এনসিপি নেতাকর্মীদের উদ্ধার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: আসিফ মাহমুদ
এনসিপি নেতাকর্মীদের উদ্ধার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: আসিফ মাহমুদ
সর্বাধিক পঠিত
গোপালগঞ্জে একসঙ্গে পাঁচ দলের বিক্ষোভ ও সমাবেশ
গোপালগঞ্জে একসঙ্গে পাঁচ দলের বিক্ষোভ ও সমাবেশ
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ‘আশ্রয় নিয়েছেন’ এনসিপি নেতারা
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ‘আশ্রয় নিয়েছেন’ এনসিপি নেতারা
র‍্যান্ডম পদ্ধতিতে ১৫ হাজারের বেশি আয়কর রিটার্ন অডিটে নির্বাচন করেছে এনবিআর
র‍্যান্ডম পদ্ধতিতে ১৫ হাজারের বেশি আয়কর রিটার্ন অডিটে নির্বাচন করেছে এনবিআর
এমপিও জালিয়াতির অভিযোগে আইডিয়ালের সহকারী প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত
এমপিও জালিয়াতির অভিযোগে আইডিয়ালের সহকারী প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত
১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক
১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক