গত মাসে মাঝ আকাশে তীব্র ঝাঁকুনিতে পড়া একটি বিমানের আহত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। মঙ্গলবার (১১ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে এয়ারলাইন্সটি জানিয়েছে, সামান্য আহত ব্যক্তিদের ১০ হাজার ডলার করে দিতে চায় তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
পোস্টে আরও বলা হয়েছে, আরও গুরুতর আহত যাত্রীদের জন্য ২৫ হাজার ডলার দেওয়া হবে। এছাড়া নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে তাদের প্রয়োজন মেটাতে আরও কী কী সহযোগিতা প্রয়োজন, তা সরবরাহ করতেও সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে এয়ারলাইন্সটি।
ঠিক কতজনকে এ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে ওই ফ্লাইটের সমস্ত যাত্রীদের সম্পূর্ণ ভাড়া ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
গত ২০ মে লন্ডন থেকে রওনা দেওয়া এস কিউ৩২১ ফ্লাইটটি মিয়ানমারের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ প্রচণ্ড টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনির মুখে পড়ে। এসময় হার্ট অ্যাটাকে ৭৩ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যু হয়।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর এয়ারক্রাফটটি পরে ২১১ যাত্রী ও ১৮ জন ক্রু নিয়ে ব্যাংককে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। ঝাঁকুনিতে গুরুতর আহত বিমানের ৪১ যাত্রীকে ব্যাংকক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তাদের মধ্যে পাঁচজন নিবিড় পরিচর্যায় ছিল। এদের তিনজন অস্ট্রেলিয়ান, একজন ব্রিটিশ এবং একজন নিউজিল্যান্ডের।এছাড়া অল্প আহত ৬০ জনকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ডেটা থেকে দেখা যায়, বিমানটি যে উচ্চতায় ক্রুজ করছিল, সেখান থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে অন্তত ছয় হাজার ফিট নিচে নেমে আসে।
এসময় বিমানে থাকা যাত্রীরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারায়। কারও মাথা বিমানের ছাদে ধাক্কা খায়। অনেকেই সিট থেকে পড়ে যায়। ব্যাংককে ভর্তি করার সময় এয়ারলাইন্সটি তাৎক্ষণিক খরচ মেটানোর জন্য সকল যাত্রীকে ১০০০ ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল।
আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, বিমানে যাত্রীরা আহত বা মারা গেলে এয়ারলাইন্সগুলোকে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা যুক্তরাজ্যের প্রবিধান অনুযায়ী ফ্লাইট বিলম্বের ক্ষতিপূরণও পাবেন তারা।