ভারতের পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, এক ধর্মযাজক ওই ব্যক্তির দেহ থেকে ‘অশুভ আত্মা’ তাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ খবর জানিয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম স্যামুয়েল মসিহ। তিনি তিন সন্তানের পিতা ছিলেন। কিছুদিন ধরে তিনি খিঁচুনি রোগে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। এর প্রতিক্রিয়ায়, তার পরিবার এক ধর্মযাজককে বাড়িতে ডাকেন। ধর্মযাজকের নাম জ্যাকব মসিহ ওরফে জ্যাকি। তিনি দাবি করেন, স্যামুয়েল একটি অশুভ আত্মার দ্বারা আক্রান্ত এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি একটি সহিংস আত্মা তাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন।
পরিবারের অভিযোগ, ধর্মযাজক জ্যাকব মসিহ আটজন সহযোগীসহ স্যামুয়েলকে নির্মমভাবে প্রহার করেন এবং এভাবে অশুভ আত্মা তাড়ানোর চেষ্টা করেন। এই নির্যাতন ঘটে ২১ আগস্ট রাতে। প্রহারের পর স্যামুয়েলকে একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়, যেখানে পরে তার পরিবার তাকে মৃত অবস্থায় পায়।
পরের দিন স্যামুয়েলের পরিবার তার মরদেহ গ্রামের কবরস্থানে সমাহিত করে। তবে পরে তারা ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিবারটি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে, যার ফলে তদন্ত শুরু হয়।
শনিবার ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দরজিৎ কৌরের তত্ত্বাবধানে পুলিশ স্যামুয়েলের মরদেহ উত্তোলন করা হয় ময়নাতদন্তের জন্য। এই ঘটনায় জ্যাকব মসিহ, বালজিৎ সিং সোনু এবং আরও আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিএসপি কুলওয়ান্ত সিং নিশ্চিত করেছেন যে, স্যামুয়েল মসিহের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চলছে।