ভারতের গুজরাটে আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে যে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে (ছাত্রাবাস) আছড়ে পড়ে সেখানকার আহত ৫০ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ জন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
চিকিৎসকদের সংগঠন ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (ফাইমা) জানায়, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে বেশিরভাগ যাত্রীকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এছাড়া হোস্টেলে অবস্থানরত কয়েকজন শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের খোঁজও মিলছে না বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
এনডিটিভি হোস্টেলের ৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে চার জন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং একজন পিজি রেসিডেন্ট ছিলেন। এছাড়া আরও অন্তত পাঁচ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছাত্রাবাসের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এতে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ আগুন।
এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটের বিমানটি ছিল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের। লন্ডনের গ্যাটউইকগামী এই ফ্লাইটে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং একজন করে কানাডীয় ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও হতাহতদের থাকার আশঙ্কা রয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকেই দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের উদ্ধারকারী বাহিনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহমেদাবাদের পুলিশ প্রধান জিএস মালিক বিবিসিকে বলেছেন, দুর্ঘটনায় ২০৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪১ জন। তবে সব মরদেহ বিমানের আরোহীদের কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সূত্র: বিবিসি, এনডিটিভি