বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জরুরি ব্যবহারের জন্য চীনের কোম্পানি সিনোফার্মের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়েছেন। সংস্থাটির অনুমোদন পাওয়া এটিই প্রথম চীনা ভ্যাকসিন। শুক্রবার এই অনুমতি দেওয়া হয়ে বলে জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটির অনুমোদিত ভ্যাকসিনটি দুই ডোজের। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি প্রয়োগ করা হচ্ছে।
ডব্লিউএইচও এর আগে ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন ও অ্যাস্ট্রাজেনকার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আজ দুপুরে ডব্লিউএইচও সিনোফার্মের ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত সংস্থার নিরাপত্তা, কার্যকারিতা ও মানের নিরিখে ছয়টি ভ্যাকসিন অনুমোদন পেলো।
তিনি আরও বলেন, টিকাকরণের বিষয়ে স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অব এক্সপার্ট প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করেছেন। তারা সুপারিশ করেছেন ১৮ বছর ঊর্ধ্বের বয়সীদের দুই ডোজ প্রয়োগ করা যাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি অনুমোদন পেলে বিশ্বের যে কোনও দেশের পক্ষে ভ্যাকসিন দ্রুত সংগ্রহ ও প্রয়োগ করার পথ সুগম হয়। বিশেষ করে যেসব দেশের আন্তর্জাতিক মানের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা নেই সেই দেশগুলোর জন্য। এর ফলে ভ্যাকসিনটি বৈশ্বিক কোভ্যাক্স উদ্যোগেরও অন্তর্ভুক্ত হয়। এই কোভ্যাক্স উদ্যোগের লক্ষ্য হলো বিশ্বের সব দেশে, বিশেষ করে দরিদ্র দেশে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া।
সিনোফার্মের উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে বিশ্বের ৪২টি অঞ্চলে প্রয়োগ হচ্ছে। অঞ্চলের হিসাবে যা অ্যাস্ট্রাজেনেকা (১৬৬), ফাইজার-বায়োএনটেক (৯৪) ও মডার্নার (৪৬) পেছনে রয়েছে।
চীনের পাশাপাশি এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ হচ্ছে, আলজেরিয়া, ক্যামেরুন, মিসর, হাঙ্গেরি, ইরাক, ইরান, পাকিস্তান, পেরু, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সার্বিয়া, সিসিলিসহ আরও কয়েকটি দেশে।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চীনের আরেকটি ভ্যাকসিন সিনোভ্যাকও অনুমোদন পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনা এই ভ্যাকসিনটি ২২টি দেশে প্রয়োগ হচ্ছে। ডব্লিউএইচও'র অনুমোদন পাওয়ার তালিকায় এখন এগিয়ে রয়েছে রুশ ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি।