যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রফতানি শিল্প রাশিয়ার। কারিগরি পরিবর্তন, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা ও ইউক্রেনে বিপর্যয়কর যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ রফতানি খাত প্রায় ধসে পড়েছে। বিশ্বের অস্ত্র শিল্প পর্যালোচনাকারী একটি শীর্ষস্থানীয় সংস্থার নতুন প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
সোমবার প্রকাশিত স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট (এসআইপিআরআই)-এর পরিসংখ্যান অনুসারে, গত পাঁচ বছরে তার আগের পাঁচ বছরের তুলনায় রাশিয়ার সামরিক রফতানি কমেছে ৩১ শতাংশ। এর ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় প্রভাবশালী অস্ত্র বিক্রেতা হিসেবে রাশিয়ার অবস্থান ঝুঁকিতে পড়ছে।
২০১৩-২০১৭ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক অস্ত্র রফতানিতে রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছিল ২২ শতাংশ। ২০১৮-২০২২ পর্যন্ত তা কমে হয়েছে ১৬ শতাংশ। এতে করে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পেছনে পড়ে গেছে রাশিয়া। বিশ্বের মোট অস্ত্র রফতানির ৪০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের দখলে। গত ৫ বছরে রাশিয়া এখন ফ্রান্সের (১১ শতাংশ) চেয়ে একটু এগিয়ে আছে।
২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর থেকে পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সর্বাত্মক রুশ আক্রমণ শুরুর পর থেকে এই বিচ্ছিন্ন করার প্রয়াস বেড়েছে। এই বিচ্ছিন্ন করার কাজের নেতৃত্বে দিচ্ছে মস্কোর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন রুশ অস্ত্রের ক্রেতাদের নিজের দিকে ঠেনে নিচ্ছে।
ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও সরঞ্জাম হারানোর ফলে রুশ প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলো চাপে পড়েছে উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে। অপর দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো মানের অস্ত্রের বিরুদ্ধে রুশ অস্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সূত্র: নিউজউইক