মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) তিনি সেখানে পৌঁছান। গাজায় ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি এনজিওর কর্মীদের ওপর ইসরায়েলি হামলার পর তিনি ফরাসি রাজধানীতে পৌঁছালেন। এই হামলার পর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বুধবার ব্রাসেলসে ন্যাটোর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন ব্লিঙ্কেন। সেখানে যাওয়ার আগে প্যারিসে একাধিক বৈঠক করবেন তিনি।
সফরসূচি অনুযায়ী ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্টিয়েন লেকর্নুর সঙ্গে একটি অস্ত্র উৎপাদন কারখানা পরিদর্শন করবেন। এরপর তিনি ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফানে সেজর্ন ও প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সম্প্রতি ম্যাক্রোঁ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবাজ অবস্থান নিয়েছেন। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের সম্ভাব্য হারের আশঙ্কা করছেন তিনি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে কোটি ডলারের সামরিক সহযোগিতা পাঠাতে ব্যর্থ হওয়ায় এই আশঙ্কা জোরদার হয়েছে।
ব্লিঙ্কেনের প্যারিস সফরের এজেন্ডায় ইউক্রেন গুরুত্ব পাবে। তবে ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামের এনজিওর কর্মীদের ওপর গাজায় ইসরায়েলি হামলা হয়ত প্রধান আলোচ্যতে পরিণত হতে পারে।
এছাড়া সোমবার সন্দেহভাজন ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়ার দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটের সাতজন সামরিক উপদেষ্টা নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন সিনিয়র কমান্ডার রয়েছেন। ফলে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তেজনা বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে।
সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফ্রান্স একটি খসড়া প্রস্তাব দিয়েছে। এতে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি পর্যালোচনার উদ্যোগ এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব নিতে সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে।
১৯৯৭ সালে ফ্রান্সের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসে রমজান মাসে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ওয়াশিংটন। এতে প্রস্তাবটি পাস হয়।