রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করার লক্ষ্যে একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে সুইজারল্যান্ড। এতে অংশ নিতে এখন পর্যন্ত পর্যন্ত ৯০টি রাষ্ট্র এবং সংস্থা নিবন্ধন করেছে। সোমবার (১০ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সুইস সরকার। ১৫-১৬ জুন এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
শীর্ষ এই সম্মেলনে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে একটি বিবৃতিতে সুইস সরকার বলেছে, এই সম্মেলনের লক্ষ্য ইউক্রেনে ভবিষ্যতে শান্তি প্রক্রিয়ায় কীভাবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে সম্মিলিতভাবে আলোচনা করা হবে।
জানুয়ারিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শীর্ষ এই সম্মেলন আয়োজনের আহ্বান জানান। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সুইজারল্যান্ড সম্মেলনের আয়োজন করতে সম্মত হয় এবং পশ্চিমাদের তুলনায় মস্কোর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে এই আয়োজনের পক্ষে সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা করে।
এদিকে, শীর্ষ এই সম্মেলনকে সময়ের অপচয় বলে উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। সুইজারল্যান্ড বলছে, কোনও প্রকার ইতিবাচক ইঙ্গিত না দেওয়ায় রাশিয়াকে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে রাশিয়াকে অবশ্যই শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হতে হবে বলেও জোর দিয়েছে দেশটি।
শান্তি সম্মেলনে রাশিয়ার অনুপস্থিতি নিয়ে মস্কোর মিত্র দেশ চীন বলেছে, রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয় দেশের অংশগ্রহণ ছাড়া শান্তি আলোচনার কোনও মানে নেই। এটি সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আলোচনায় যেকোনও ধরণের বড় অগ্রগতির প্রত্যাশাকে ক্ষুণ্ণ করেছে।
সুইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগনাজিও ক্যাসিস বলেছেন, এই শীর্ষ সম্মেলনে বিস্তৃত আন্তর্জাতিক সমস্যার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। এরমধ্যে পারমাণবিক ও খাদ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা, নৌ চলাচলের স্বাধীনতা এবং একইসঙ্গে যুদ্ধবন্দিদের মতো মানবিক বিষয়গুলো রয়েছে।