অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে রুশ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় হামলার দাবি করেছে ইউক্রেন। সোমবারের (১০ জুন) ওই হামলায় রাশিয়ার তিনটি সারফেস টু এয়ার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক বিবৃতিতে ইউক্রেনীয় জেনারেল স্টাফ এই খবর জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
জেনারেল স্টাফ বলেছেন, হামলার সময় ঝাকোইতে একটি এস-৪০০ সিস্টেম এবং ইয়েভপাতোরিয়া ও চোরনোমোর্স্কের কাছে দুটি স্বল্পোন্নত এস-৩০০ ব্যবস্থার ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এতে রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষার ‘উল্লেখযোগ্য ক্ষতি’ হয়েছে।
তবে ইউক্রেনের এমন দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। এ বিষয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি।
স্থানীয় টেলিগ্রাম চ্যানেল ঝাকোই ও ইয়েভপাতোরিয়ার কাছে বিস্ফোরণের খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে, তাদের হামলায় রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার রাডার বন্ধ হয়ে গেছে এবং একটি এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।
তবে শত্রুর ‘অত্যন্ত কার্যকর’ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তাদের কোনও ক্ষেপণাস্ত্রকেই প্রতিহত করতে পারেনি। একটি টেলিগ্রাম পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী।
ক্রিমিয়া উপদ্বীপ থেকে দক্ষিণ ইউক্রেনের ওপর বারবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া। এই অঞ্চলটি ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করেছিল দেশটি।
২০১৪ সালের পর, ২০২২ সালে ইউক্রেনে আবারও হামলা করে রাশিয়া। গত দুই বছরে পালাক্রমে ইউক্রেনও ক্রিমিয়ায় রুশ লক্ষ্যবস্তুতে একাধিক বিমান ও নৌ হামলা চালিয়েছে। একইসঙ্গে কৃষ্ণ সাগরে মস্কোর নৌবহরের হামলার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য ক্ষতিও করেছে।
ইউক্রেনের দাবি, ৩০ মে ইউক্রেনীয় সেনাদের হামলায় সেখানে দুটি ফেরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের মধ্যকার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে।