ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রস্তাবিত চারপক্ষীয় শান্তি আলোচনার ফরম্যাট নিয়ে আলোচনা করার সময় এখনই আসেনি বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এই প্রতিক্রিয়া জানায় রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। এ ছাড়া জেলেনস্কির নির্বাচনি ম্যান্ডেট নিয়েও পুনরায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মস্কো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
শনিবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে চারপক্ষীয় আলোচনার পক্ষে। কিয়েভকে বাদ দিয়ে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত বিপজ্জনক হবে।
জেলেনস্কির এই মন্তব্যের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ওয়াশিংটন ও মস্কো ইতোমধ্যে ইউক্রেন নিয়ে যোগাযোগ করেছে। তবে ট্রাম্প বিস্তারিত কিছু বলেননি। গত ২৭ জানুয়ারি ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রায়াবকভ বলেছেন, মস্কো ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ এখনও শুরু হয়নি।
সোমবার সাংবাদিকদের জেলেনস্কির প্রস্তাবিত আলোচনার ফরম্যাট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এখন পর্যন্ত কেউই আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের সম্ভাব্য সংমিশ্রণ নিয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেনি। এখন পর্যন্ত আমরা এই ধারণা থেকে এগোচ্ছি যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এমন আলোচনা করার অধিকার নেই।
মস্কো দীর্ঘদিন ধরে বলছে যে, গত বছর জেলেনস্কির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে পুনর্নির্বাচিত করা হয়নি। কিয়েভ এই অবস্থানকে একটি কূটচাল হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
পেসকভ আরও বলেন, জেলেনস্কির ২০২২ সালের একটি ডিক্রি বলবৎ থাকায় কোনও আলোচনার সম্ভাব্য ফরম্যাট নিয়ে আলোচনা করাও কঠিন। এই ডিক্রি অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা নিষিদ্ধ। মস্কো বলছে, এই ডিক্রি প্রত্যাহার করতে হবে।
পেসকভ বলেন, ডিক্রি বলবৎ থাকা অবস্থায় আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের সম্ভাব্য সংমিশ্রণ নিয়ে আলোচনা করা সম্ভবত আমাদের পক্ষে আগ বাড়িয়ে কথা বলা হবে।
ট্রাম্পের অভিষেকের পর থেকে এখনও পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে ফোনালাপ হয়নি। সোমবার এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে পেসকভ বলেন, যোগাযোগ আপাতদৃষ্টিতে পরিকল্পিত, তবে এখনই এই বিষয়ে নতুন কিছু বলার নেই।
আলোচনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল দুটি রুশ সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত রাশিয়ার কাছে ট্রাম্প ও পুতিনের শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাব্য স্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।