রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা ফের শুরু হতে যাচ্ছে। আলোচনার প্রস্তাবদাতা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই এবার আলোচনায় অংশ নেবেন না। তবে যাদের পাঠাচ্ছেন, তাদের পরিচয়েই বোঝা যাচ্ছে, মস্কো বিষয়টিকে কতটা কৌশলগত গুরুত্ব দিচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মস্কোর স্থানীয় সময় ১৪ মে রাত ১১টার কিছু পর ক্রেমলিন আলোচক দলের সদস্যদের নাম ঘোষণা করে। দলের নেতৃত্বে থাকবেন ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ সহকারী ভ্লাদিমির মেডিনস্কি। তিনি ২০২২ সালের আলোচনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
কে এই মেডিনস্কি?
সোভিয়েত আমলে ইউক্রেনে জন্ম, পড়াশোনা মস্কোর মর্যাদাপূর্ণ স্টেট ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসে। রাশিয়ার স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন ইতিহাস বই রচনার নেতৃত্ব দেন তিনিই। সেই বইয়ে উঠে এসেছে পুতিনপন্থি ইতিহাসবোধ—সোভিয়েত ইউনিয়নের গৌরব, পতনের লজ্জা এবং পুতিনের শাসনে ‘নবজাগরণ’-এর গল্প। বর্তমানে তিনি রাশিয়ান মিলিটারি হিস্টোরিক্যাল সোসাইটির প্রধান।
রুশ প্রতিনিধি দলের অন্যরা কারা?
উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল গালুজিন: সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক দেখেন। এশিয়া ও আফ্রিকার ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। জাপানি ও ইংরেজিতে দক্ষ।
সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার (জিআরইউ) পরিচালক ইগর কস্ত্যুকভ: রাশিয়ার ইতিহাসে প্রথম নৌবাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে এই সংস্থার নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। জিআরইউ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত।
উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকজান্ডার ফোমিন: ২০২২ সালের আলোচনাতেও অংশ নিয়েছিলেন।
বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য কারা?
প্রেসিডেন্ট পুতিন আলোচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি পৃথক তালিকাও অনুমোদন করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন, জেনারেল স্টাফের তথ্য পরিচালনা বিভাগের প্রথম উপপ্রধান আলেকজান্ডার জোরিন। সোভিয়েত ইউক্রেনে তার জন্ম। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে রুশ হস্তক্ষেপে প্রধান ভূমিকা ছিল। মধ্যস্থতার দক্ষতার জন্য পরিচিত।
ক্রেমলিনের মানবিক নীতি শাখার উপপ্রধান ইয়েলেনা পোদোব্রেয়েভস্কায়া।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিআইএস বিভাগের পরিচালক আলেক্সেই পলিশচুক। তিনি বেলারুশ, ইউক্রেন ও মলডোভা নিয়ে কাজ করেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সামরিক সহযোগিতা বিভাগের উপপ্রধান ভি. শেভচভ।