X
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

৭০ বছর পর ভারতের জঙ্গলে ঘুরবে চিতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২১ জুলাই ২০২২, ১৩:২৭আপডেট : ২১ জুলাই ২০২২, ১৩:২৭

গত ৭০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ভারতের জঙ্গল হতে যাচ্ছে চিতাবাঘের আবাসস্থল। বুনো বিড়ালের এই প্রজাতির সবচেয়ে বেশি জনগোষ্ঠীটি রয়েছে নামিবিয়ায়। সেখান থেকে আটটি চিতা ভারতে পৌঁছাবে আগস্টে। ১৯৫২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের প্রাকৃতিক চিতা বাঘ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

স্থলের সবচেয়ে দ্রুতগামী প্রাণী চিতাবাঘ। প্রতি ঘণ্টায় এর গতি পৌঁছাতে পারে ৭০ মাইল (১১৩ কিলোমিটার) পর্যন্ত। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের রেড লিস্ট অনুযায়ী চিতাবাঘকে স্পর্শকাতর প্রজাতি ঘোষণা করা হয়েছে। সারা দুনিয়ায় প্রাকৃতিক পরিবেশে মাত্র সাত হাজারের মতো চিতাবাঘ টিকে আছে।

২০২০ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ‘সতর্কভাবে বাছাই করা স্থানে’ চিতাবাঘ ফেরানোর নির্দেশ দেয়। এরপরই প্রাণীটিকে নিরাপদে ভারতে পরিবহন নিয়ে দুই বছর ধরে পরিকল্পনা চলে। এরপরই চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়।

ভারতে আনা চিতাবাঘগুলোকে মধ্য-প্রদেশের কুনো পালপুর ন্যাশনাল পার্কে ছাড়া হবে। চিতাবান্ধব ভূখণ্ডের জন্য এই পার্কটি বেছে নেওয়া হয়েছে। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনের মুহূর্তে এসব চিতাবাঘ অবমুক্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারতের পরিবেশমন্ত্রী ভুপেন্দর যাদভ সোশাল মিডিয়ার একটি বলেছেন, ‘দ্রুততম স্থলজ ফ্ল্যাগশিপ প্রজাতি চিতা ফেরানোর মাধ্যমে স্বাধীনতার ৭৫তম গৌরবময় বছর পূর্ণ করে, ভারত ল্যান্ডস্কেপে পরিবেশগত গতিশীলতাকে পুনরুজ্জীবিত করবে’।

বজ্রের মতো গতির সঙ্গে শিকারের দক্ষ প্রজাতি চিতা। আবাসস্থল কমে যাওয়া, খাবার সংকটে পড়ে ভারত থেকে হারাতে শুরু করে প্রাণীটি। ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর ভারতে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী চিতাবাঘ।

এক সময়ে আরব উপসাগর থেকে শুরু করে আফগানিস্তান পর্যন্ত পাওয়া যেত এশিয়াটিক চিতা। বর্তমানে এটি শুধু ইরানে টিকে আছে। ২০২২ সালে সরকারি কর্মকর্তারা জানান সেখানে কেবল ১২টি জীবিত চিতা রয়েছে।

ভারতে চিতাবাঘের সংখ্যা বাড়াতে ১৯৫০ এর দশক থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৯৭০ এর দশকে একবার ইরান থেকে ভারতে এগুলো নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় ইরানে প্রায় তিনশ’ চিতাবাঘ ছিল। তবে ইরানের বিপ্লবে শাহের পতনের পর আলোচনা ব্যর্থ হয়ে যায়।

ভারতের কর্মকর্তাদের বিশ্বাস তাদের সবশেষ পদক্ষেপ দীর্ঘ মেয়াদে সফলতা এনে দেবে। ভারতের পরিবেশ মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘চিতা ফেরানো প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল ভারতে কার্যকর চিতা জনগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করা। এর ফলে  শীর্ষ শিকারী হিসেবে চিতা তার কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারবে’।

সূত্র: বিবিসি

/জেজে/
সম্পর্কিত
আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে ট্রাম্পকে ৯ হাজার ডলার জরিমানা
চুক্তি হোক বা না হোক রাফাহতে ইসরায়েলি অভিযান চলবে: নেতানিয়াহু
ক্যানারি দ্বীপে নৌকাডুবি, ৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
সর্বশেষ খবর
মন্ত্রী-এমপি’র আত্মীয়দের নিয়ে আ.লীগ কী ‘ইউটার্ন’ নিচ্ছে!
উপজেলা নির্বাচনমন্ত্রী-এমপি’র আত্মীয়দের নিয়ে আ.লীগ কী ‘ইউটার্ন’ নিচ্ছে!
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
বরগুনায় দুই সাংবাদিকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা
বরগুনায় দুই সাংবাদিকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা
ভিনিসিয়ুসের জোড়ায় প্রথম লেগে বায়ার্নকে জিততে দেয়নি রিয়াল
চ্যাম্পিয়নস লিগ, সেমিফাইনালভিনিসিয়ুসের জোড়ায় প্রথম লেগে বায়ার্নকে জিততে দেয়নি রিয়াল
সর্বাধিক পঠিত
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সিস্টেম লস কমাতে সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট চায় পেট্রোবাংলা
সিস্টেম লস কমাতে সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট চায় পেট্রোবাংলা
এক ফ্রেমে এত ‘সুন্দরী’, স্মৃতিকাতর সকলেই!
এক ফ্রেমে এত ‘সুন্দরী’, স্মৃতিকাতর সকলেই!
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
আজকের আবহাওয়া: তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার আভাস