X
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
২৩ বৈশাখ ১৪৩২

টিয়া ফেরত পেয়ে ৮৫ হাজার রুপি উপহার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৬ জুলাই ২০২২, ১৮:০২আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২২, ১৮:০২

দীর্ঘ পাঁচদিন পর যখন তার পার্টনার শেষ পর্যন্ত ফিরে আসে, তখন রিও এতোটাই আনন্দিত হয়ে ওঠে যে সে তার ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়। আক্ষরিকভাবেই। রিও’র মতোই তার পার্টনার একটি চমৎকার আফ্রিকান গ্রে প্যারট (টিয়া)। রুস্তমা নামের এই পাখিটি দরজা খোলা পেয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্নাটকের এক পরিবার থেকে হারিয়ে যাওয়া পাখিটি ফিরে পেতে নগদ অর্থ উপহারের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপরই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে পাখিটি। পাঁচ দিন পর যখন রুস্তমাকে নিরাপদে ফেরত পাওয়া যায়, তখন পরিবারটি উদ্ধারকারীকে ৮৫ হাজার রুপি উপহার দেয়। যদিও রুস্তমাকে ফিরে পেতে তারা ৫০ হাজার রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন।

শেঠি পরিবার জানিয়েছে, তিন বছর আগে তারা ব্যাঙ্গালোর শহর থেকে টিয়া দুইটি কিনে আনে। ভারতে আফ্রিকান গ্রে প্যারট পোষ্য রাখা বেআইনি নয়। তবে সংরক্ষণবাদীরা প্রায়ই ভারতে বিদেশি পাখির প্রজনন ও বাণিজ্য সীমিত রাখার পরামর্শ দিয়ে আসছেন।

পাখিটি ফেরত পেতে লিফলেট প্রচার করা হয়। ছবি: বিবিসি

পাখি দুইটির মালিক অর্জুন শেঠি একজন ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়ই এগুলোকে আমাদের পরিবারের অংশ বলে মনে করি আর কখনোই তাদের খাঁচায় রাখায় বিশ্বাস করি না’। তিনি জানান, পাখিগুলোও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করতো, বিশেষ করে শেঠির সাত বছরের ছেলে বিহানের সঙ্গে। এছাড়া পাখিগুলো চারপাশে শোনা শব্দ পুনরাবৃত্তি করতে পারে।

তবে ১০ দিন আগে বাড়িতে কিছু আসবাবপত্র প্রবেশ করানোর সময় রুস্তমা উড়ে চলে যায়। পার্টনার হারিয়ে যাওয়ার পর রিও হতাশ হয়ে পড়ে আর খাবার গ্রহণ বন্ধ করে দেয়।

পাখিটিকে খুঁজে পায় দুই শ্রমিক

অর্জুন শেঠি জানান রুস্তমার ছবি দিয়ে লিফলেট ও পোস্টার প্রিন্ট এবং বিতরণে বেশ কিছু অর্থ খরচ করেন। পরিবারটি পাখিটি ফেরত দেওয়া হলে ৫০ হাজার রুপি পুরস্কারের ঘোষণা দেয়। নিজেদের বসবাসের শহর তামাকারুর বেশ কয়েকটি সড়কে পোস্টার লাগানো হয়। রুস্তমাকে ফিরে পেতে মাইকিংও করা হয়।

আর এসব যখন চলছিল তখন রুস্তমা তাদের থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে ছিল। শ্রীনিবাস ও কৃষ্ণমূর্তি নামে দুই শ্রমিক পাখিটিকে আটকে রাখে।

রুস্তমা বাড়ি ছাড়ার একদিন পর পাখিটিকে গাছের উপর বসে থাকতে দেখেন কৃষ্ণমূর্তি। কুকুর-বিড়াল থেকে রক্ষা পেতে আশ্রয় নেওয়া পাখিটিকে ক্লান্ত ও ভয়ার্ত দেখতে পান তিনি। রুস্তমা নিজের ইচ্ছাতেই কৃষ্ণমূর্তির কাছে চলে আসে। পরে তিনি এটিকে শ্রীনিবাসের কাছে দেন। তিনি একটি খাঁচায় রেখে এটিকে খেতে দেন।

একসঙ্গে দুই পাখি। ছবি: বিবিসি

চার দিন পর শ্রীনিবাস ও কৃষ্ণমূর্তির চোখে লিফলেট পড়ে। তখন তারা অর্জুন শেঠিকে ফোন করেন। তখন তারা বুঝতে পারেন যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তার চেয়ে বেশি অর্থ পেতে যাচ্ছেন তারা। অর্জুন শেঠি বলেন, আমরা এক পূজারির সঙ্গে কথা বলি, ‘তিনি আমাদের বলেছিলেন তিন দিনের মধ্যে পাখিটি পাওয়া যাবে। তবে তিনি আরও বলেন, পুরস্কারের অর্থ বাড়ালে আরও আগে পাওয়া যেতে পারে’।

অর্জুন যখন রুস্তমাকে সংগ্রহ করতে যান তখন খাঁচায় বসা পাখিটিকে ক্লান্ত ও বিষন্ন দেখতে পান। তিনি বলেন, ‘এটি যখন আমাকে দেখতে পায় তখন দেখার মতো ঘটনা ঘটে। এটি এতো জোরে শব্দ করা শুরু করে যেগুলো খুব খুশি ও উত্তেজিত হয়ে পড়লে করে’।  রুস্তমা ফিরে আসায় পুরো পরিবার খুশি হয়। তবে রিওর খুশি সবচেয়ে বেশি।

সূত্র: বিবিসি

/জেজে/
সম্পর্কিত
বুধবার ভারতজুড়ে যুদ্ধকালীন ‘মক ড্রিল’
হেগসেথের নির্দেশে ইউক্রেনের অস্ত্র পাঠানো বন্ধ হয়েছিল, জানতো না হোয়াইট হাউজ
আলোচনা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হুমকি বন্ধ করা: চীন
সর্বশেষ খবর
তরুণদের রাজনীতিতে আরও বেশি অংশগ্রহণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
তরুণদের রাজনীতিতে আরও বেশি অংশগ্রহণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
তিন দিন পর ভোলার সব রুটে বাস চলাচল শুরু
তিন দিন পর ভোলার সব রুটে বাস চলাচল শুরু
বুধবার ভারতজুড়ে যুদ্ধকালীন ‘মক ড্রিল’
বুধবার ভারতজুড়ে যুদ্ধকালীন ‘মক ড্রিল’
অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা না করার অনুরোধ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের
অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা না করার অনুরোধ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের
সর্বাধিক পঠিত
প্রাথমিকে আরও একটি অধিদফতর হচ্ছে
প্রাথমিকে আরও একটি অধিদফতর হচ্ছে
চেম্বার থেকে নারী চিকিৎসককে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় এনে মারধর
চেম্বার থেকে নারী চিকিৎসককে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় এনে মারধর
এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের চাপে আওয়ামীপন্থি ৬ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল
এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের চাপে আওয়ামীপন্থি ৬ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল
ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন, দুই শনিবার খোলা থাকবে অফিস
ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন, দুই শনিবার খোলা থাকবে অফিস
আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক শেষ, কিস্তি ছাড়ে কী সিদ্ধান্ত হলো?
আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক শেষ, কিস্তি ছাড়ে কী সিদ্ধান্ত হলো?