কাতারে অতিরিক্ত উপজাতীয়তাবাদের বিষয়ে সতর্ক করেছেন দেশটির ক্ষমতাসীন আমির। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, এতে হুমকির মুখে পড়ছে জাতীয় ঐক্য। এই সংকট মোকাবিলায় নাগরিকদের সাম্য প্রতিষ্ঠায় নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে এই আইন উপজাতীয়তাবাদ উসকে দিচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এই মাসের শুরুর দিকে কাতারে প্রথমবারের মতো শুরা কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই উপদেষ্টা কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে আমির আগামী বছর ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের সময়ে কাতারের জনগণকে আরও বেশি সহিষ্ণুতা প্রদর্শনের আহ্বান জানান।
কাতারের বর্তমান নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, ১৯৩০ সালের আগে যাদের পরিবার কাতারে বসবাস করতেন না তারা শুরা কাউন্সিলের নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। এ নিয়ে দেশটিতে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বলেছেন, কাতারের জনগণকে সমান অধিকার দিয়ে আইন সংশোধন করতে মন্ত্রিসভাকে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। ওই সংশোধনী অনুমোদনের জন্য শুরা কাউন্সিলে পাঠানো হবে।
উপজাতীয় অসহিষ্ণুতাকে রোগ আখ্যা দিয়ে কাতারের আমির বলেন, ‘যদিও... নাগরিকত্ব সম্পূর্ণ আইনি ইস্যু নয় কিন্তু এটা মূলত সভ্যতা এবং আনুগত্য এবং কর্তব্যের ইস্যু, কেবল অধিকার নয়।’ তিনি বলেন, ‘ঘৃণাবাদী অসহিষ্ণুতা, সেটা উপজাতীয়তা হোক কিংবা অন্য কিছু, তা জাতীয় ঐক্য ধ্বংস করে দিতে পারে।’
আগামী বছর বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনে তোড়জোড় শুরু করেছে কাতার। তারা আশা করছেন, ২৮ দিনের টুর্নামেন্টে প্রায় ১২ লাখ অনুরাগী দেশটি সফর করবেন। আমির শেখ তামিম বলেন, এই আয়োজন বিশ্বের দরবারে কাতারের মর্যাদা বাড়ানোর সুযোগ।