প্রত্নতাত্ত্বিক সফরের সময় নিদর্শন চুরিতে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় এক ব্রিটিশ পর্যটককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ইরাকের একটি আদালত। ৬৬ বছর বয়সী এই পর্যটকের মুক্তি চাইতে ব্রিটিশ সরকারের সহায়তা চেয়েছে তার পরিবার। তাদের আশঙ্কা দণ্ডভোগের মধ্যেই মৃত্যু হতে পারে এই পর্যটকের।
ইরাকে দণ্ড পাওয়া ব্রিটিশ পর্যটক ফিটন একজন অবসরপ্রাপ্ত জিওলোজিস্ট। গত ২০ মার্চ বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তারা তার লাগেজে ১২টি টুকরো পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিশ্লেষণের জন্য এই টুকরোগুলো ইরাকের জাতীয় জাদুঘরে পাঠানো হয় আর পরে সেগুলো প্রত্ন নিদর্শন হিসেবে শনাক্ত হয়। ফিটনের বিরুদ্ধে ইরাকের প্রত্ন আইনের অধীনে নিদর্শন পাচার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।
ফিটনের আইনজীবী থাইর সৌদ জানান, মার্চে একই ধরনের অভিযোগে জার্মান নাগরিক ভলকার ওয়াল্ডম্যানকেও গ্রেফতার করা হয়। তবে প্রমাণের অভাবে তাকে দোষী প্রমাণিত করা যায়নি, গত সোমবার তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
ফিটনের পরিবারের দাবি ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় এরিদু শহরে প্রত্নতাত্ত্বিক সফরের সময় ১২টি টুকরো সংগ্রহ করেন তিনি। তাদের দাবি ওই সময়ে সেখানে কোনও প্রহরি ছিল না কিংবা কোনও সতর্কতার নোটিশও ছিল না।
আইনজীবী সৌদ দাবি করেছেন, তার ক্লায়েন্ট জানতেন না এগুলো কিসের টুকরো আর সেগুলো একটি প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকার বর্জ্য ফেলার স্থান থেকে সংগ্রহ করা হয়। তার মক্কেল পাথর পছন্দ করেন আর যেখানেই ভ্রমণ করেন সেখান থেকেই এগুলো সংগ্রহ করেন। তার অপরাধের উদ্দেশ্য ছিল না বলেও দাবি করেন আইনজীবী। তিনি জানান আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
সূত্র: সিএনএন