অবরুদ্ধ গাজার কেন্দ্রে অবস্থিত আল আহলি হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত বেড়ে অন্তত ৫০০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা অনেক হওয়ায় চিকিৎসা সরঞ্জামাদির ঘাটতিতে নিহত বাড়তে পারে। যদিও এই ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা নেই অস্বীকার করে ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদী গোষ্ঠীর ব্যর্থ রকেট উৎক্ষেপণকে দায়ী করছে ইসরায়েলি বাহিনী।
মঙ্গলবার রাতে গাজায় হামলা হওয়ার সময় হাসপাতালে অনেক রোগী ভর্তি ছিলেন। ইসরায়েলি বিমান হামলা থেকে বাঁচতে নিরাপদ ভেবে হাসপাতালে আশ্রয়ও নিয়েছিলেন অনেক নারী ও শিশু। কিন্তু প্রাণে বাঁচতে পারেননি তারা। বিবিসি জানিয়েছে, জায়গায় জায়গায় মানুষের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। উদ্ধার করার মতো লোকের সংকট দেখা দেয়।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা প্রধান আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় ৩০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, নিহত কমপক্ষে ৫০০ হবে।
- আরও পড়ুন:
- বাইডেনের সঙ্গে জর্ডান, ফিলিস্তিন ও মিসরীয় নেতাদের বৈঠক বাতিল
- গাজা ছাড়তে ইসরায়েলি নির্দেশ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হতে পারে: জাতিসংঘ
এমন হত্যাযজ্ঞে নিন্দার ঝড় বইছে আরব বিশ্বের পাশাপাশি অন্যান্য জায়গায়ও। ইসরায়েল বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে জর্ডান ও তুরস্কসহ আরও কয়েকটি দেশে। একে বর্বর হামলা উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গাজার একটি হাসপাতালে হামলা চালিয়ে শত শত ফিলিস্তিনিকে হত্যায় আমরা ক্ষুব্ধ। অনেকে আহত হয়েছেন। এ ধরনের বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা।’
একইভাবে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইরান।