ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঘোষণা দিয়েছে, উত্তর গাজা ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দেওয়ার পরও যারা সেখানে থেকে যাবেন তাদের সন্ত্রাসীদের দোসর হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং হত্যা করা হতে পারে। শনিবার অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলি উড়োজাহাজ থেকে ছোড়া জরুরি প্রচারপত্রে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে আবারও সেখানকার বাসিন্দাদের দক্ষিণাঞ্চলে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে।
‘গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের প্রতি’ প্রচারপত্রে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ‘গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থান আপনাদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবে। যারা গাজা উপত্যকার দক্ষিণে যাবে না, দক্ষিণের এলাকায় থেকে যাবে, তাদেরকে সন্ত্রাসীদের দোসর হিসেবে হত্যা করা হতে পারে।’
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র আভিচায় আদ্রি নিশ্চিত করেছেন প্রচারপত্রগুলো তাদের সেনাবাহিনীর।
এর আগে শনিবার ইসরায়েলের পক্ষ থেকে গাজার আল কুদস হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একই দিনে উত্তর গাজার বিশটি হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের অবিরাম বোমা বর্ষণ ও অবরোধের মুখে রয়েছে গাজা। ওই দিন হামাস ইসরায়েলে হামলার পর উপত্যকায় যুদ্ধ ঘোষণা করে দেশটি।
বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি ও খাদ্য সরবরাহের ঘাটতি থাকায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে ছিটমহলটিতে। মানুষের দুর্ভোগের অবসানের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
গত কয়েক দিনের সংঘাতে ইসরায়েলি হামলায় ৪ হাজার ৩৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১ হাজার ৭৫৬ শিশু ও সহস্রাধিক নারী রয়েছেন। আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জন।