ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক সিনিয়র কমান্ডার বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিমান থেকে শত শত বোমা ও অন্যান্য অস্ত্র ফেলার মধ্যে স্থল অভিযান শুরুর পর তীব্রতম লড়াইয়ের দিন পার করছেন তারা। বাহিনীটির দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের কমান্ডার ইয়ারন ফিঙ্কেলম্যান মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এই মন্তব্য করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইয়ারন ফিঙ্কেলম্যান বলেছেন, স্থল অভিযান শুরুর পর সবচেয়ে তীব্র লড়াইয়ের দিনে রয়েছি আমরা।
তিনি বলেছেন, গাজা সিটির উত্তরে জাবালিয়া, পূর্বে সুজাইয়া এবং দক্ষিণের খান ইউনিসে লড়াই চলমান।
ইসরায়েলি কমান্ডার বলেন, আমরা জাবালিয়া, সুজাইয়া ও খান ইউনিসের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছি।
মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি’র খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরকে লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ জোরদার করেছে। এতে হাসপাতালগুলোতে হতাহতের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এর মাধ্যমে চলমান যুদ্ধের একটি নতুন রক্তক্ষয়ী অধ্যায় শুরু হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরা আল-কিদরা বলেছেন, মঙ্গলবার সকালে সকালে অন্তত ৪৩টি লাশ নাসের হাসপাতালে পৌঁছেছে।
বোমাবর্ষণ ও স্থল আক্রমণ ইতোমধ্যে গাজার ২৩ লাখ মানুষের তিন-চতুর্থাংশকে তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করে। এবার খান ইউনিসের আশেপাশের এলাকাগুলো থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশের ফলে পুরো গাজাবাসীকে একটি ছোট্ট অঞ্চলে অবস্থান করতে হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণে হামাসের আকস্মিক হামলার জবাবে গাজায় পাল্টা বিমান হামলা ও স্থল অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৪২ হাজারের বেশি মানুষ।
প্রথম দফায় টানা ৫১ দিনের সংঘাতের পর গাজায় গত ২৪ নভেম্বর কাতারের মধ্যস্থতায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি দেওয়া হয়। এরপর যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুই দফা বাড়িয়ে সাতদিন করা হয়। যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়া মাত্র শুক্রবার সকাল গাজায় থেকে আবারও হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। শুরুতে উত্তরাঞ্চলে অভিযান চালালেও এখন তা দক্ষিণেও বিস্তৃত হয়েছে।