ইরাকে থাকা মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিদেশি সেনাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির আলোচনা শুরু হয়েছে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রথম আলোচনা হলো। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহামেদ শিয়া আল-সুদানির কার্যালয় থেকে বৈঠকের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তার সঙ্গে ইরাকের সশস্ত্র বাহিনী ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দেখা গেছে।
কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জোট বাহিনীর ভবিষ্যৎ নিয়ে বাগদাদে যৌথ কমিশন কাজ শুরু করেছে।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবারের বৈঠকটি ছিলো ইরাকে জোট বাহিনীর অগ্রগতির পর্যালোচনা এবং দেশটিতে জোট বাহিনীর উপস্থিতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার প্রক্রিয়া।
ইরাক সরকার আশা করছে, এ আলোচনার মাধ্যমে বিদেশি সেনার উপস্থিতি কমানোর জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা যাবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিংও স্বীকার করেছেন যে, আরব দেশে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতির বিষয়টি কথোপকথনের অংশ থাকবে।
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)-বিরোধী আন্তর্জাতিক জোটের অংশ হিসেবে ২০১৪ সালে ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সেনা মোতায়েন করা হয়। ওই বছর জঙ্গিগোষ্ঠীটি ইরাক ও প্রতিবেশী সিরিয়ার বিশাল অংশ দখল করে নিয়েছিল। বর্তমানে ইরাকে প্রায় আড়াই হাজার বিদেশি সেনা রয়েছে।
তবে গত বছরের অক্টোবরের প্রথমদিকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট একের পর এক হামলার শিকার হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে, ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এসব হামলা চালাচ্ছে। এর জেরে পাল্টা হামলাও চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ প্রেক্ষিতে বাগদাদ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরাকি ভূখণ্ডে ‘আগ্রাসন’ চালানোর অভিযোগ এনেছে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহামেদ শিয়া আল-সুদানি ইতোমধ্যে বিদেশি সেনাদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।