গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রস্তাবে হামাস নতুন করে যেসব পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে সেগুলোর কিছু সংশোধন করার সুযোগ নেই। বুধবার (১২ জুন) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই কথা বলেছেন। তবে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এই খবর জানিয়েছে।
বুধবার কাতারি প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানির সঙ্গে দোহায় বক্তৃতাকালে ব্লিঙ্কেন বলেন, হামাসের প্রতিক্রিয়ার ‘ফলে’ গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।
ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, ‘আলোচনার টেবিলে থাকা প্রস্তাবটিতে অনেকগুলো পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। গতকাল রাতে আমরা মিসরীয় সহকর্মীদের এবং আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। এর মধ্যে কিছু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা যাবে। আর কিছু পরিবর্তনযোগ্য নয়।’
গত মাসের শেষের দিকে পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করেছিল ওয়াশিংটন। তখন তারা দাবি করেছিল, এটি গাজায় একটি ‘স্থায়ী’ যুদ্ধবিরতির পথ উন্মুক্ত করবে।
মঙ্গলবার ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাস। তারা এই প্রস্তাবটিকে ‘দায়িত্বশীল’ ও ‘ইতিবাচক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
একটি বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, ‘এই প্রতিক্রিয়া আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার, গাজার ওপর চলমান আগ্রাসন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা এবং সমগ্র গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার করার ওপর জোর দেয়।’
৩১ মে ৩ পর্যায়ের এই প্রস্তাব ঘোষণা করার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, এতে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং শত্রুতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
তবে হামাসের অবস্থান ও মার্কিন প্রস্তাবের মধ্যে পার্থক্য অস্পষ্ট। মঙ্গলবার একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থতার জন্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীকে দোষারোপ করেছেন ব্লিঙ্কেন।
তিনি বলেছিলেন, ‘আলোচনার টেবিলে থাকা চুক্তিটি মূলত হামাসের ৬ মে প্রস্তাবিত চুক্তিরই প্রতিফলন। এটি এমন একটি চুক্তি যার দিকে পুরো বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে, যেটি ইসরায়েল গ্রহণ করেছে। হামাস এখন শুধু একবাক্যে ‘হ্যাঁ’ উত্তর দিতে পারে।’
এসময় তিনি আরও বলেছিলেন, ‘এর পরিবতে হামাস প্রায় দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছিল এবং এর পর আরও পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছিল। এর মধ্যে মধ্যে অনেকগুলোই পূর্বে গ্রহণ করা ও মেনে নেওয়া হয়েছিল যেগুলো এখন পরিবর্তন করার অবস্থানে নেই।’