অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ও কানাডা গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) দেশ তিনটি ইসরায়েলকে জাতিসংঘের আদালতের রায় মেনে চলারও অনুরোধ জানিয়েছে। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের আদালত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন ও ইসরায়েলের সামরিক নিয়ন্ত্রণকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এ খবর জানিয়েছে।
তিন দেশের নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগকে ইসরায়েলের আমলে নেওয়া উচিত। সাধারণ মানুষের সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে একটি প্রয়োজনীয়তা। হামাসকে পরাজিত করতে ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোকদের মূল্য দেওয়া উচিত না। এটি অবশ্যই শেষ হওয়া উচিত।
নেতারা আরও বলেন, তারা হামাসের প্রতি তাদের নিন্দা অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া, নেতারা ইসরায়েলের প্রতি কট্টরপন্থি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংস কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী করতে, পশ্চিম তীরে তাদের বসতি স্থাপন কর্মসূচি বাতিল করতে এবং দুই রাষ্ট্রের সমাধানের দিকে কাজ করার আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ায় ইসরায়েলি দূতাবাস ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংস কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছিল।
গত শুক্রবার, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল এবং সেখানে বসতি স্থাপনকে অবৈধ বলে রায় দেয় এবং যত দ্রুত সম্ভব তা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানায়। এটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের বিষয়ে আদালতের সবচেয়ে কঠোর রায়।
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউ জিল্যান্ডের নেতারা ইসরায়েলকে ১৯ জুলাইয়ের আইসিজে রায়ের প্রতি ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া’ জানাতে আহ্বান জানান।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিজে মতামতকে ‘মৌলিকভাবে ভুল’ এবং ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি দাবি করেছে, একটি রাজনৈতিক সমঝোতা কেবল আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন আক্রমণে প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয় বলে দাবি ইসরায়েলের। এই হামলার জবাবে গাজায় আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজার আক্রমণ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৩৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দাবি, হামাস ও ইসলামিক জিহাদের মতো গোষ্ঠীগুলোর প্রায় ১৪ হাজার যোদ্ধাকে তারা হত্যা বা বন্দি করেছে। যুদ্ধের শুরুতে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি ছিল বলে ধারণা করা হয়।