ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েল পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাহিনীটির মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, আমরা প্রতিরক্ষা ও আক্রমণাত্মক উভয় ক্ষেত্রেই উচ্চ সতর্কতায় আছি। আমরা ইসরায়েলের নাগরিকদের রক্ষা করব। এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিণতি ভোগ করতে হবে। আমাদের পরিকল্পনা আছে এবং আমরা আমাদের পছন্দমতো সময় ও স্থানে পদক্ষেপ নেব। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি হোম ফ্রন্ট কমান্ড জানিয়েছে, নাগরিকদের বোমা আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে ইরান ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করার পর দেশটির নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সহায়তায় মার্কিন সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভূপাতিত করতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন বলে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস হোয়াইট হাউজের সিচুয়েশন রুম থেকে ইরানের আক্রমণ পর্যবেক্ষণ করছেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা দলের কাছ থেকে নিয়মিত আপডেট পাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েল জুড়ে শুধু দুজন আহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স সেবা মাগেন ডেভিড অ্যাডম। তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরোতে সামান্য আহত দুজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, আশ্রয়কেন্দ্রে দৌড়ানোর সময় হোঁচট খেয়ে আহত এবং গুরুতর আতঙ্কে আক্রান্ত আরও কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ইসরায়েলের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের আকাশসীমা বন্ধ রাখা হয়েছে এবং ফ্লাইটগুলো বিকল্প গন্তব্যে পুনর্নির্দেশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে জর্ডান ও ইরাকও সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, জর্ডানের আকাশে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার দৃশ্য দেখা গেছে।
এ সম্পর্কিত আরও খবর: