ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রনেন বারকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ ও আইনবিরোধী’ বলে রায় দিয়েছে। বুধবার দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো এই তথ্য জানিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।
আদালত জানায়, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন এবং ‘কাতারগেট’ কেলেঙ্কারির তদন্তের প্রেক্ষাপটে তিনি রনেন বারকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন, যা আইন লঙ্ঘনের শামিল।
চলতি বছরের মার্চে নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, তিনি শিন বেত প্রধানকে পদচ্যুত করছেন। এই ঘোষণার পর দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। বিরোধীরা বলেন, সরকার রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করছে এবং গণতন্ত্রের ভিত্তিমূলকে হুমকির মুখে ফেলছে।
এপ্রিলে রনেন বার জানান, তিনি ১৫ জুন পদত্যাগ করবেন। নেতানিয়াহু তাকে বরখাস্তের চেষ্টা শুরুর ছয় সপ্তাহ পর এ ঘোষণা দেন তিনি।
এরই মধ্যে ইসরায়েলের সর্বোচ্চ আদালত সরকারের বরখাস্তের প্রচেষ্টা স্থগিত করেছিল। রনেন বার অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তাকে ইসরায়েলি বিক্ষোভকারীদের ওপর নজরদারি চালানো এবং নেতানিয়াহুর দুর্নীতির মামলায় বিঘ্ন ঘটানোর অনুরোধ করেছিলেন, যা তিনি মানেননি। এ কারণেই তাকে অপসারণের চেষ্টা করা হয়েছে।
তবে নেতানিয়াহু এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।