X
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
২১ আষাঢ় ১৪৩২

গাজার পরিস্থিতির আলোকে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেবে জার্মানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৩০ মে ২০২৫, ২২:৪৭আপডেট : ৩০ মে ২০২৫, ২২:৪৭

গাজায় মানবিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে ইসরায়েলকে নতুন অস্ত্র সরবরাহ অনুমোদন করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জার্মানি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ভাডেফুল শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

এক সাক্ষাৎকারে ভাডেফুল বলেন, আমরা এই বিষয়টি পর্যালোচনা করছি এবং প্রয়োজনে এই পর্যালোচনার ভিত্তিতে আরও অস্ত্র সরবরাহ অনুমোদন করব।

গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ ও বেসামরিক নাগরিকদের ব্যাপক হতাহতের পরিপ্রেক্ষিতে জার্মান সমর্থন নিয়ে প্রশ্ন বাড়ায় তার এই মন্তব্য এসেছে। 

ভাডেফুল বলেন, হুথি বিদ্রোহী, হিজবুল্লাহ ও ইরানের হুমকির মুখে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন হলোকাস্টের জন্য প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে জার্মানির ইসরায়েলকে সমর্থনের নীতি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর আমাদের বিশেষ দায়িত্ব আছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে কোনও সরকার যা খুশি তাই করতে পারবে।

যুদ্ধ শুরুর তিন মাস পর গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই অভিযোগকে অপপ্রচার বলে দাবি করেছেন।

মার্চের শুরুতে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় ইসরায়েলের মানবিক সহায়তা অবরোধও আইসিজে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। গত মে মাসের মাঝামাঝি এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে। নেতানিয়াহু অবশ্য ইসরায়েলের ১১ সপ্তাহের অবরোধকে ইচ্ছাকৃত দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির চেষ্টা হিসেবে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

গত মঙ্গলবার জার্মান চ্যান্সেলর বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে গাজায় বিমান হামলা এখন আর ন্যায্য নয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং এরপর থেকে যুদ্ধ শুরু হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের বিমান ও স্থল অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

/এএ/
সম্পর্কিত
ফ্রান্স: এক শতাব্দী পর সীন নদীতে সাঁতরানোর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬১৩: জাতিসংঘ
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে রাজি নয় ইরান: ট্রাম্প
সর্বশেষ খবর
ফ্রান্স: এক শতাব্দী পর সীন নদীতে সাঁতরানোর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
ফ্রান্স: এক শতাব্দী পর সীন নদীতে সাঁতরানোর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
সাবেক এমপি এ কে আজাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি: বিএনপির ১৬ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক এমপি এ কে আজাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি: বিএনপির ১৬ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে আরও ২৯৪ জন
ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে আরও ২৯৪ জন
সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজে চাকরি, অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই
সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজে চাকরি, অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই
সর্বাধিক পঠিত
৯ ধরনের মামলার আগে মধ্যস্থতার বাধ্যবাধকতা: বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে?
৯ ধরনের মামলার আগে মধ্যস্থতার বাধ্যবাধকতা: বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে?
দেশের এই পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন: জামায়াত আমির
দেশের এই পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন: জামায়াত আমির
জামায়াতের অনুষ্ঠানে ‘সৎ’ লোককে ভোট দিতে বলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
জামায়াতের অনুষ্ঠানে ‘সৎ’ লোককে ভোট দিতে বলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
আই উইল বি আ মাদার: জায়েদ খানকে তিশা
আই উইল বি আ মাদার: জায়েদ খানকে তিশা
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম অংশ অবশ্যই মেটিকুলাসলি ডিজাইনড: মাহফুজ আলম
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম অংশ অবশ্যই মেটিকুলাসলি ডিজাইনড: মাহফুজ আলম