তুরস্কের ইস্তানবুলে পুলিশের একটি বাসে বোমা হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার সন্দেহভাজনকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। ওই হামলায় ১১ জন নিহত হন। আহত হন আরও ৩৬ জন। নিহতদের মধ্যে সাত পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ জুন) মধ্য ইস্তানবুলের বায়েজিত জেলায় ওই হামলা চালানো হয়।
আটক চার ব্যক্তিকে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ইস্তানবুলের গভর্নর ভাসিপ শাহিন তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, একটি পুলিশ বাস সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় অপর একটি প্রাইভেট কারে রাখা বোমাটি বিস্ফোরিত হলে ১১ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ৭ জন পুলিশ সদস্য এবং অপর চারজন বেসামরিক নাগরিক। তবে আটক চার ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এমরে রেনদে নামক এক সাংবাদিকের বরাতে জানিয়েছে, ভেজনিসিলার মেট্রো স্টেশনের কাছে পুলিশ বাসটি লক্ষ্য করে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এরপর গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়।
ওই সাংবাদিকের মতে, পর্যটকদের দূরে রাখতেই গ্র্যান্ড বাজারের সামনে ওই হামলা চালানো হয়। প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ পর্যটক তুরস্ক সফরে আসেন। তবে পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে এই সংখ্যাটা প্রায় ২৮ শতাংশ কমে এসেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোয়ান ওই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, তার দেশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রও ওই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলায় দায় কেউ স্বীকার করেনি। সম্প্রতি তুরস্কে কুর্দি যোদ্ধা, ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও বিপ্লবী বামপন্থীরা বেশ কিছু হামলা চালিয়েছে।
চলতি বছর তুরস্কে একাধিক হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে ইস্তানবুলের পর্যটন এলাকায় দুটি আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। এছাড়া কুর্দি যোদ্ধারা আঙ্কারায় দুটি গাড়িবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
সূত্র: আলজাজিরা।
আরও পড়ুন:
মার্কিন ব্যাংকগুলোতেও হ্যাকিংয়ের ভয়!
নিউ জার্সি জয়ের ফলে আরেক ধাপ অগ্রসর হলেন হিলারি
যৌন সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় ১৯ নারীকে পুড়িয়ে হত্যা করল আইএস!
/এসএ/বিএ/