যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি গির্জায় এক বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। রবিবার ওই গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে পুলিশের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, টেক্সাসের সাদারল্যান্ড স্প্রিংয়ের উইলসন কাউন্টির ফার্স্ট ব্যাপটিস্ট গির্জায় এই হামলা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা আলবার্ট গামেজ জুনিয়র হামলায় ২০ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি সিবিএস নিউজ চ্যানেলকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ মুহূর্তে ঘটনার বিস্তারিত বলা খুবই কঠিন। তবে আমি জানতে পেরেছি বন্দুকধারীর হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন এবং ২০/২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে বন্দুকধারীও নিহত হয়েছে।’
জানা গেছে, সাধারণত রবিবারে ওই গির্জায় কমপক্ষে ৫০ জন প্রার্থনায় অংশ নেন। নিহতদের মধ্যে শিশুরাও আছে।
তবে কাউন্টির এক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, বন্দুকধারী গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পার্শ্ববর্তী কাউন্টির কাছে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়।
কিন্তু হামলাকারী আত্মহত্যা করেছে নাকি পুলিশ তাকে হত্যা করেছে সেটা প্রতিবেদনে স্পষ্ট করা হয়নি।
কেরি মাতুলা নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী এনবিসি চ্যানেলকে জানিয়েছেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ সেমি-অটোমেটিক বন্দুকের গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম। এটা খুবই ছোট একটি কাউন্টি। তাই সবাই জানতে চাচ্ছে সেখানে আসলে কি হচ্ছে।’
অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন।
স্থানীয় এবিসি টেলিভিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বন্দুকধারী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গির্জায় ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশ স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছে, এ ঘটনায় কয়েকজন ভুক্তভোগী হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে হামলাকারী।
স্থানীয় সাংবাদিক ম্যাক্স মেসি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হতাহতদের দ্রুত সরিয়ে নিতে কয়েকটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এফবিআই) প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোটের দাবি, ‘হামলায় প্রার্থনাকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করায় আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শিগগিরই টেক্সাসের পাবলিক সেফটি ডিপার্টমেন্ট থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
তবে এখনও পর্যন্ত এ হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউ।
আরও পড়ুন: