লন্ডনে এশিয়া এনার্জির মূল প্রতিষ্ঠান জিসিএম-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক সময় ফুলবাড়ী কয়লাখনি প্রকল্পে খননকাজে নিযুক্ত কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তি থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ফুলবাড়ী সংহতি গ্রুপ নামের একটি সংস্থা এর আয়োজন করে। এতে অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, ব্রিটিশ খননকারী প্রতিষ্ঠান জিসিএম রিসোর্সেস-এর কার্যক্রম অপরাধ ও প্রতারণামূলক।
পরিবেশ-প্রতিবেশের সুরক্ষায় তীব্র গণআন্দোলনের মুখে ২০০৬ সালের ৩০ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন সরকার জিসিএম-এর সাবসিডিয়ারী কোম্পানি এশিয়া এনার্জিকে দেশ থেকে বহিষ্কার করে। পরে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন এবং তা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে—এমন দাবি করে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি। তার আগেই বাংলাদেশ এশিয়া এনার্জিকে বহিষ্কার করায় জিসিএম নামে তালিকাভুক্ত করা হয় প্রতিষ্ঠানটিকে।
শুক্রবারের বিক্ষোভের আয়োজনকারীরা বলছেন, কয়লা খনি তৈরির পরিকল্পনার প্রতিবাদে ১৩ বছর আগে প্রায় লাখখানেক মানুষের এক বিক্ষোভে তিন বাংলাদেশি কিশোর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। ওই কিশোরদের বয়স ছিল ১২ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। ওই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও ২০০ জন।
বিক্ষোভকারীরা লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালান। তারা সেখানকার প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ডেভিট ওয়ারেনকে আহ্বান জানান, কোম্পানিটিকে যেন স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ভবনে প্রবেশে বাধা দেয়। তবে ১২টি সংগঠনের একটি জোট লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জকে লেখা চিঠিতে জিসিএস-এর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছে।